দু’মাসের মধ্যে ধর্ষণের তদন্ত শেষ করে দোষীদের কঠোর সাজা দিতে হবে: কেন্দ্র
নয়াদিল্লি: একের পর এক ধর্ষণকান্ডে উত্তপ্ত গোটা দেশ। হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তোলপাড় হয়ে যায় গোটা দেশ। হায়দরাবাদ কান্ডের আবহেই উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ে এক নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারার ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, ধর্ষণের তদন্ত মাত্র দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই মর্মে দেশের সব মুখ্যমন্ত্রী ও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠাবে কেন্দ্র। নাবালিকাদের বিরুদ্ধে অপরাধ-সহ ধর্ষণের মামলার তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রককেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আরও জানান, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার মোট ১০২৩টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের প্রস্তাব দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০০টির বিষয়ে ইতিমধ্যেই সব প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। আরও ১৬০টি কোর্ট শুরুর দিকে এবং আরও ৭০৪টি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।
Union Law Min RS Prasad: Central & state govts have proposed for constitution of 1023 new fast track courts across country. Out of these 1023, consensus has been reached on 400 and more than 160 have already become operational. Also, 704 fast track courts were already operational pic.twitter.com/JiVzIOXiCM
— ANI (@ANI) December 7, 2019
হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার আবহেই উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গণধর্ষণের শিকার ২৩ বছর বয়সী যুবতীকে প্রকাশ্যে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সেলিব্রিটিরা। প্রতিবাদে সরব হয়েছে আমজনতাও।
হায়দরাবাদের পুলিশি এনকাউন্টারের মতো সমাধান চাইছেন উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবা। ফলে প্রশ্ন উঠছে সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রশাসন ও বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দোষীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে তৎপর হচ্ছে কেন্দ্র।