Sunday, September 15, 2024
আন্তর্জাতিক

ইন্দোনেশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, ১৮৯ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা

জাকার্তা: ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা থেকে উড্ডয়নের ১৩ মিনিটের মধ্যে লায়ন এয়ার বোয়িং ৭৩৭ নামের একটি যাত্রীবাহী বিমান ১৮৯ আরোহী নিয়ে জাভা সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়েছে। উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যে কন্ট্রোল রুমের সাথে বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জাকার্তা থেকে সুমাত্রা দ্বীপের পেংকাল পিনাংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল যাত্রীবাহী বিমানটি। তখনই জাভা সমুদ্রে ভেঙে পড়ে বিমানটি।

ফ্লাইট জেটি ৬১০ নিয়মিত ফ্লাইট যেটা জার্কাতা থেকে পেংকাল পিনাং যাতায়াত করে। ফ্লাইট জেটি ৬১০ স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৬:২০ মিনিটে উড্ডয়ন করে। বিমানটি দেপাতি আমির বিমানবন্দরে এক ঘন্টা পর অবতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু ১৩ মিনিট পর কর্তৃপক্ষ বিমানটির সাথে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৭৮জন প্রাপ্তবয়স্ক, তিনজন শিশু, দুইজন পাইলট এবং পাঁচজন কেবিন ক্রু ছিল। তবে বিমানটিতে থাকা কেউ বেঁচে আছে কিনা – তা জানা যায় নি। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান জানিয়েছেন, ঐ বিমান থেকে মানুষের ব্যবহার করা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাগরে ভাসতে দেখা গেছে।

জানা গিয়েছে, বিমানটির পাইলট ছিলেন দিল্লির বাসিন্দা সুনেজা কাজের। ইতিমধ্যেই জাকার্তার ভারতীয় দূতাবাস সুনেজার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করছে। ২০০৯ সালে বেল এয়ার ইন্টারন্যাশনালের তরফে লাইসেন্স পেয়েছিলেন সুনেজা। প্রথমে এমিরেটসের শিক্ষানবিশ ছিলেন। তারপর ২০১১ সালে যোগ দেন লায়ন এয়ারে। গত সাত বছর ধরে ওই বিমান সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। জাকার্তার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিমান দুর্ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, লায়ন এয়ার ইন্দোনেশিয়ার বেসরকারিখাতে পরিচালিত বৃহত্তম বিমান সংস্থা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম বিমানসংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে যাতায়াতের দিক দিয়ে এটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে আছে এয়ার এশিয়া। দেশীয় ফ্লাইট পরিচালনার পাশাপাশি এটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও পরিচালনা করে।