খুশির খবর, অ্যান্টিবডি তৈরিতে সক্ষম ভারতের কোভ্যাক্সিন, নেই কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
নয়াদিল্লি: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দেশে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৭৬১ জন। যা বিশ্বের কোনও দেশের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। এই পরিস্থিতিতে করোনার ভ্যাকসিন অতীব দ্রুত প্রয়োজন। এরই মধ্যে জানা গেল ভারতে তৈরি করোনার ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল।
প্রথম পর্যায়ে ৩৭৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে কোভ্যাক্সিন। স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের ফলাফল সামনে এসেছে। সেই ফলাফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক।
কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের প্রধান পর্যবেক্ষক ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের ডঃ ই ভেঙ্কট রাও জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবকদের দেহে করোনা-রোধী অ্যান্টিবডির অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি, টিকা প্রয়োগে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কোনও বিরূপ প্রভাব চোখে পড়েনি।
তিনি জানান, ১৪ দিনের ব্যবধানে স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে কোভ্যাক্সিনের মোট ২টি ডোজ দেওয়া হয়। তাঁদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। টিকা প্রয়োগের ২৮ দিন, ৪২ দিন, ১০৪ দিন এবং ১৯৪ দিনের ব্যবধানে স্বেচ্ছাসেবকদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু হয়ে গিয়েছে। নাগপুরের ডঃ গিল্লুরকর হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটে শুরু হয়েছে এই টিকার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। এখানে মোট ৫৫ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করা হবে।
দুটি পর্যায়ে মোট ১,১০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ করা হবে। এই ট্রায়ালের জন্য হায়দরাবাদের নিজাম ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস, দিল্লি ও পটনার AIIMS-সহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে ICMR।


