ভারত ‘আশা দেখাচ্ছে’ বিশ্বকে, প্রথম পর্বে সফল হল কোভ্যাক্সিন, প্রস্তুতি দ্বিতীয় ধাপের
নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন আশা দেখাচ্ছে গোটা বিশ্বকে। জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে অত্যন্ত উৎসাহজনক ফল মিলেছে কোভ্যাক্সিনের। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছে।
এই ভ্যাকসিনটি ট্রায়ালের জন্য সারা দেশে মোট ১২টি ইনস্টিটিউটকে বেছে নিয়েছিল আইসিএমআর। তাঁদের মধ্যে রোহতকের পোস্ট গ্র্যাডুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের (পিজিআই) তরফে বলা হয়েছে, প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিন টেস্টের ফলাফল ‘আশা দেখাচ্ছে’।
দিল্লির এইমস হাসপাতালে চলতি সপ্তাহেই ৩০ বছরের এক ব্যক্তির দেহে কোভ্যাক্সিন সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সিটিআরআই জানিয়েছে, কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায় এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হতে এক বছর তিম মাস সময় লাগবে। আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি যৌথভাবে কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক সংস্থা।
১৭ জুলাই রোহতকের হাসপাতলে ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে এই কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভ্যাকসিন দেওয়ার পরে ওই স্বেচ্ছাসেবকের দেহে কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।
কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের হিউম্যান ট্রায়ালের ফলাফল আশা জাগাচ্ছে দেশের বিজ্ঞানমহলে। ভ্যাকসিনের ট্রায়াল দলের প্রধান ডা: সবিতা ভার্মা বলেছেন, ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয় দফায় ৬ জনের ওপর কোভ্যাক্সিনের প্রয়োগ করা হয়েছে।