Friday, June 20, 2025
Latestদেশ

নোবেল জয়ের পরে ভারতের উদ্দেশ্যে বাংলায় বার্তা দিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

নিউ ইয়র্ক: সোমবার আরও এক বঙ্গসন্তানের মুকুটে যুক্ত হল নোবেল। যাঁর নাম অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থনীতিতে নোবেল জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। দারিদ্র্য দূরীকরণে তাঁর গবেষণার জন্যই বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মান পেলেন কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজের এই প্রাক্তনী। তাঁর সঙ্গেই অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো এবং মিকেল ক্রেমার।

অভিজিতের বাবা-মা দু’জনেই অর্থনীতির স্বনামধন্য অধ্যাপক। তাঁদের ছেলেও অর্থনীতির শিক্ষক। বাবা-মার কর্মজীবন কেটেছে কলকাতাতেই। অভিজিত এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) অধ্যাপক। ৫৮ বছর বয়সী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় বলেন, ভবিষ্যতে কী হবে আমার বিবৃতি তার ওপর নয়, বরং এখন কী হচ্ছে তা নিয়ে। আমি এ বিষয়ে মত দিতে পারি। আমার দৃষ্টিতে ভারতের অর্থনীতি খুবই খারাপ।

প্রতি দেড় বছর পরপর প্রকাশিত ভারতের ‘ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভ’র করা দেশের গ্রাম ও শহরের বাসিন্দাদের গড় ব্যয়ের ভারসাম্যহীনতার তথ্য তুলে ধরে অভিজিৎ বলেন, যদি আমরা ২০১৪ থেকে ১৫ এবং ২০১৭ থেকে ১৮ সালের তথ্যের দিকে তাকাই, তাহলে দেখব, গড় ব্যয় সামান্য হলেও কমে গেছে। অনেক অনেক বছর পর প্রথমবার এ চিত্র দেখা গেল, যা স্পষ্টতই সতর্কীকরণ চিহ্ন।


নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বলেন, কোনও উপাত্ত যে সঠিক, তা নিয়ে ভারতে তুমুল বিতর্ক চলছে। যেসব উপাত্ত অস্বস্তিকর, সেগুলো ভুল হিসেবে দেখাতে সরকারের সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিও আছে। এরপরও, এমন কিছু একটা আছে, যে আমার মনে হচ্ছে, সরকারও ধীরে ধীরে সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে নিচ্ছে। অর্থনীতি শ্লথ হচ্ছে দ্রম্নত গতিতে। তবে কতটা দ্রম্নত গতিতে হচ্ছে, তা আমরা জানি না, কেননা এ-সংক্রান্ত উপাত্ত নিয়ে বিতর্ক আছে; কিন্তু আমার মনে হয় বেশ দ্রম্নত গতিতেই হচ্ছে।

সংকট নিরসনে এখন সুনির্দিষ্টভাবে কী করা দরকার, তা বলতে পারেননি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সরকারের আর্থিক ঘাটতি বিশাল, কিন্তু এই মুহূর্তে তার উচিৎ, বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখার ভান করে হলেও সবাইকে কিছুটা সন্তুষ্ট করার প্রয়াস নেয়া। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর বিবেচনায়, অর্থনীতি যখন ‘নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ঘুরপাক খায়’ তখন ‘আর্থিক স্থিতিশীলতা নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন না হয়ে চাহিদা নিয়েও কিছুটা উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমার মনে হয় চাহিদা এই মুহূর্তে অর্থনীতির জন্য বিরাট সমস্যা।