গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৭টি জঙ্গি ঘাঁটি, খতম ৩৫ জঙ্গি
শ্রীনগর: তাংধারে পাক গোলায় দুই ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর উপযুক্ত জবাব দিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ফের সেনার বড়সড় অভিযান। বালাকোটের পর ফের সাফল্য ভারতীয় সেনার। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে রবিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর হানায় ৭ টি জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং নিহত হয়েছে ৬ থেকে ১০ জন পাকিস্তানি সেনা। হামলায় খতম হিজবুল ও জইশের অন্তত ৩৫ জঙ্গি।
সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তাংধার সেক্টরে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। আমরা তার জবাব দিই। পাকিস্তান হামলা চালায়, আমাদের ছাউনিতে গুলি চালায়, যাতে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করতে পারে। জঙ্গিদের সীমান্তপার করে এদেশে ঢোকাতেই হামলা চালায় পাক সেনা। জবাবে তাংধারের উল্টো দিকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিগুলি লক্ষ্য করে ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে ভারতীয় সেনা ৷
নীলম উপত্যকার অন্তত ৭টি লস্কর ও জৈশ জঙ্গিদের লঞ্চপ্যাড গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ লেপা উপত্যকা, জুরা-সহ আরও ছয় জায়গায় একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ও লঞ্চপ্যাড ধ্বংস হয় ৷ তাতে খতম হিজবুল ও জইশের অন্তত ৩৫ জঙ্গি। ৬ পাক সেনারও মৃত্যু হয়।
এদিন পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে কুপওয়ারা জেলার তানঘর সেক্টরে গুলি চালায়। ভোর থেকেই শুরু হয় গুলির লড়াই। তারই মাঝে চলে অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা। পাক গুলিতে শহিদ হয় ২ ভারতীয় জওয়ান। মৃত্যু হয় ২ নাগরিকেরও। গোলাগুলিতে ১টি বাড়ি, চালের গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পুলওয়ামায় জইশ-ই-মহম্মদের ভয়াবহ হামলার পর জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত। সেবার বালাকোটে জইশের ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এর আগে ২০১৬ সালে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে ভারত।
এদিনের হানাকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা বালাকোটের বিমানহানার সঙ্গে তুলনা করা যায় না বলে জানিয়ে সূত্র জানিয়েছে, এটা ছিল, গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি, যা পাকিস্তানি সেনাকে পাঠানো একটি শক্তিশালী ইঙ্গিত। পাকিস্তানের আর্টিলারি অবস্থানকে তোপ দেগে, সূত্র জানিয়েছে, পরিষ্কার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, গোপন অবস্থানে নজর রাখা হচ্ছে এবং তারা জঙ্গিদের সমর্থন করলে টার্গেট করা হবে।