দৈনিক এক কোটি ডোজ টিকা উৎপাদনের পরিকল্পনা কেন্দ্রের
নয়াদিল্লি: সরকার গতবারের মতো এবার আর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না। করোনার প্রথম ধাক্কার পর মনে করা হয়েছিল আমরা মনে হয় করোনাকে রুখে দিতে পেরেছি! কিন্তু সেকেন্ড ওয়েভে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা। তাই তৃতীয় ওয়েভ আঘাত হানার আগে সতর্ক সরকার। তৃতীয় ধাক্কা আগে চাই গণটিকাকরণ। তবে দেশজুড়ে গণটিকাকরণে ধীরগতি ও টিকার ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের উপদেষ্টা ভি কে পাল বলেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, সরবরাহ বাড়ার পর আমরা গণটিকাদানের গতিও বাড়াতে পারব। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন প্রায় ৩০ লাখ ডোজ টিকা উৎপাদন হচ্ছে। তবে জুলাই ও আগস্ট মাসে করোনার টিকার উৎপাদন তিনগুণ বাড়িয়ে দৈনিক এক কোটি ডোজ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
করোনার টিকার চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ায় উৎপাদন বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে টিকা উৎপাদন কোম্পানি সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক। তাই উৎপাদনের গতি বাড়াতে ওষুধ কোম্পানি ফাইজার-সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গেও আলোচনা শুরু হয়েছে। সিরাম ইনস্টিটিউট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, মে মাসে দিনরাত পরিশ্রম করে তারা ৬ কোটি টিকা উৎপাদন করেছে। জুনে তাঁরা ১২ টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।
এপ্রিলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর কয়েকদিন ধরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছিল। তবে সংক্রমণ বেড়ে মে মাসের প্রথমদিকে দৈনিক চার লাখ ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। যা বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যায় নয়া রেকর্ড। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনার নতুন ঢেউ ঠেকাতে হলে ১৩০ কোটি মানুষের সবাইকে টিকা দিতে হবে।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।