পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কথা মেনে নিল পাকিস্তান
ইসলামাবাদ: রবিবার পাকিস্তানি সেনার গুলিতে দুই ভারতীয় সেনা জওয়ান-সহ এক নাগরিকের নিহত হওয়ার পরই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি লঞ্চ প্যাডে হামলা চালায় ভারত। ভারতীয় সেনার বক্তব্য, ভারতের পাল্টা গোলাবর্ষণে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে থাকা ৩টি পাক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, জঙ্গিঘাঁটিগুলির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং ১০ জন পাক সেনা এবং তিনটি জঙ্গি ঘাঁটিও ধ্বংস করা হয়েছে। ভারতীয় সেনার গোলাবর্ষণের কথা সরকারি ভাবে মেনেও নিল পাকিস্তান।
পাক সেনার মুখপাত্র গফুর টুইটে জানিয়েছেন, ভারতের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনে তাঁদের এক সেনা এবং পাঁচ নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে। গফুরের বক্তব্য, নিরীহ নাগরিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত জঙ্গিঘাঁটিতে আক্রমণের মিথ্যে দাবিকে প্রতিষ্ঠা দিতে চাইছে।
Indian COAS’ statement claiming destruction of 3 alleged camps in AJK is disappointing as he holds a very responsible appointment. There are no camps let alone targeting those. Indian Embassy in Pakistan is welcome to take any foreign diplomat / media to ‘prove’ it on ground.1/2.
— DG ISPR (@OfficialDGISPR) October 20, 2019
ভারতীয় রাষ্ট্রদূত গৌরব আলুওয়ালিয়াকে ডেকে ভারতের গুলিচালনার নিন্দাও করে পাকিস্তান। পাক বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মহম্মদ ফৈজল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যকে নিয়ন্ত্রণরেখায় এসে অবস্থা স্বচক্ষে দেখে যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন।
তবে পাকিস্তান যাই বলুক না কেন, ভারতের এই পাল্টা আক্রমণ দেশে দারুণ প্রশংসিত হচ্ছে। গত ২৬ নভেম্বর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনার একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংসের সঙ্গে এ দিনের হামলার তুলনা করা হচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বি এস জয়সওয়াল বলেন, পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়াটা প্রয়োজন ছিল। বিনা প্ররোচনায় বার বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন পাক সরকারের অনুমতি ছাড়া সম্ভব নয়।