চিনের ঘুম ওড়াতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর জাপানের
নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারত। তবে শুধু সীমান্তে নয়, চিন পণ্য বয়কটের হিড়িকে চাপে পড়েছে প্রতিবেশী দেশের ব্যবসা। তার মধ্যেই একের পর এক সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছে ভারত। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ভারত-জাপানের প্রতিরক্ষা চুক্তি।
চিনকে নজরে রেখে সামরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করল ভারত এবং জাপান। বুধবার দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে ঐতিহাসিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত এবং জাপান।
এদিন দিল্লিতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দ্য অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ক্রস সার্ভিসিং এগ্রিমেন্ট (The Acquisition and Cross-Servicing Agreement সংক্ষেপে ACSA) চুক্তি স্বাক্ষর করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত সাতোশি সুজুকি। ১০ বছরের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে ভারতীয় সেনা ও জাপানি সেনার মধ্যে সেনাসরঞ্জাম আদানপ্রদান ও একে ওপরের সামরিক পরিকাঠামো ব্যবহারের সুবিধা পাবে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লাদাখ ও দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখেই এই চুক্তি। ভারত এবং জাপানের আসল উদ্দেশ্য চিনা বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সামরিক বলয় গড়ে তোলা।
এদিক, এই চুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জাপানের সদ্য স্বাস্থ্যজনিত কারণে অবসর নেওয়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। বৃহস্পতিবার, আবে ফোন করে ৩০ মিনিট কথা বলেন মোদীর সঙ্গে৷


