Friday, April 26, 2024
দেশ

৭ বছরে ৬০ বছরের কাজ করেছি: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

মেদিনীপুর: ‘৭ বছরে ৫০-৬০ বছরের কাজ করেছি।’ বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ লাইনে প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বৈঠকে দাসপুরের দলীয় বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটি সেতুর দাবি জানান। তখনই মুখ্যমন্ত্রী একথা বলেন।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘‘যে কাজগুলো হচ্ছে, সেগুলো চেপে যাচ্ছ। আর নতুন নতুন দাবি করছো। আমাদের সরকার ৭ বছরে ৫০-৬০ বছরের কাজ করে ফেলেছে। এত দাবি মেটানো সম্ভব নয়।’’

এরপর শিউলিদেবী নতুন একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি জানালে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেলায় জেলায় অনেক সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়েছি। প্রতি ব্লকে তো এভাবে দাবি করলে দেওয়া সম্ভব নয়।’ এরপরই কেশপুরের বিধায়কের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, ‘‘এলাকায় যাও। মানুষের সঙ্গে আরও বেশি করে জনসংযোগ গড়ে তোলো সেইসাথে আরো ভালো করে কাজ করো।’

বোলপুরের প্রশাসনিক সভা শেষ করে বুধবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জেলা নেতাদের সঙ্গে একদফা বৈঠক করেন। বৈঠকে মেদিনীপুর-খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘কংসাবতী নদী ভাঙনের জেরে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এবিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভালো হয়।’ মুখ্যমন্ত্রী পাল্টা অভিযোগ করেন, ‘কেন্দ্র সাহায্য করছে না। ফলে নদী ভাঙন সর্বত্র রোধ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’

কেশিয়াড়ির জগদীশ দাস মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, ‘কেশিয়াড়ি-নয়াগ্রামের মাঝে ভসরাঘাট নদীর ওপর জঙ্গলকন্যা সেতু গড়ে উঠলেও সেটা অন্ধকারে ডুবে থাকে। আলোর ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’ মুখ্যমন্ত্রী তখন ওই সেতুতে দ্রুত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। জেলার উন্নয়নে আরও তৎপর হওয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রত্যেককে কড়া বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, ‘পদে থাকলে কাজ করতে হবে। কোনো অজুহাত আমি শুনব না।’