Sunday, September 15, 2024
দেশ

কর্ণাটকে টিপু জন্মজয়ন্তীতে বিক্ষোভ বিজেপির, অনুষ্ঠান বাতিল মুখ্যমন্ত্রীর

বেঙ্গালুরু: মহীশুরের বাঘ বা শের-ই-মহীশূর বলে খ্যাত টিপু সুলতানের জন্ম জয়ন্তী পালনে বিজেপির চরম বিরোধের মুখে পড়ে নিতান্ত বাধ্য হয়েই পিছু হটলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। প্রথমে অনুমতি দিলেও বিতর্কে রাশ টানতে অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জেডিএস নেতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন উপ মুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। অনুষ্ঠান হবে বেঙ্গালুরুর বিধানসৌধে।

এদিকে টিপু সুলতানের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে শনিবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হল কর্ণাটকে। বিজেপি-সহ অন্যান্য ডানপন্থী সংগঠনের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় কোড়াগু জেলায়। যার জেরে হুবলি, ধারওয়াদ শহর সহ গোটা কোড়াগু জেলাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

রাজ্য বিজেপির দাবি, যে শাসক নির্বিচারে হিন্দু-নিধন করেছে, সরকারের কোষাগারের টাকা ব্যয় করে তাঁকে সম্মান জানানোর কোনও অর্থ হয় না। বিজেপির জেলা সম্পাদক সজ্জল কৃষ্ণন জানান, টিপু জয়ন্তী পালন করে সরকারি অর্থ অপব্যবহার করছে। টিপু কোনওদিনই যোদ্ধা ছিলেন না। ধর্মান্ধ ছিলেন টিপু। নৃশংস ভাবে প্রচুর হিন্দু নিধন করেছেন তিনি। হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছেন।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই টিপুর জন্মজয়ন্তী পালনের নির্দেশ দেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী। এরপর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের বিরোধিতায় সুর চড়ায় হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।

অবশেষে সমালোচনার মুখে পরে সাফাই দেন কুমারস্বামী। তিনি বলেন, কাউকে অনুষ্ঠান পালন করার বা না পালন করার আলাদা কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যেহেতু এই দেশে বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস। তাই কে, কোন অনুষ্ঠান পালন করবে সেটা প্রত্যেকের নিজস্ব ব্যাপার। কারও কোনও অনুষ্ঠান পালনের ইচ্ছা না হলে তিনি পালন করবেন না।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সাল থেকে কংগ্রেস সরকার ঘটা করে টিপু জন্ম জয়ন্তী পালন করে আসছে। প্রথম দুবছর বড়সড় বিক্ষোভ দেখিয়েছিল বিজেপি ও সংঘ পরিবার। সিদ্দারামাইয়ার এই পদক্ষেপকে ‘মুসিলম তোষণ’ বলে ব্যাখ্যা করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপির মতে, টিপু ছিলেন স্বেচ্ছাচারী শাসক ও কট্টর ধার্মিক।