গজদাঁত অপছন্দ, তাই স্ত্রীকে তিন তালাক দিলেন স্বামী
হায়দরাবাদ: স্ত্রীর গজদাঁত আছে, তাই আর সঙ্গে থাকা পোষাচ্ছে না স্বামীর। এই অদ্ভুত কথা বলেই স্ত্রীকে মারধর করে তিন তালাক দিলেন স্বামী! শুধু তাই নয় বিয়ের পর থেকেই আরও পণ দাবি করে স্ত্রীকে অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদে।
জানা গেছে, অত্যাচারিতা রুখসানা বেগম তাঁর স্বামী মুস্তাফা ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গজদাঁতের কারণে তাঁকে তিন তালাক দেওয়ার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রুখসানার আরও অভিযোগ, তার স্বামী মুস্তাফা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে রীতিমতো হেনস্থা করত তাঁকে।
চলতি বছরের ২৭ জুন রুখসানা বেগম এবং মুস্তাফার বিয়ে হয়। রুখসানাকে তিন তালাক দেওয়ার কারণ হিসাবে মুস্তাফা জানায়, স্ত্রীর গজদাঁত অপছন্দ হওয়ায় তার এই তালাকের সিদ্ধান্ত। এরপর একটি ঘরের মধ্যে মু্স্তাফা ও তাঁর পরিবার প্রায় একটানা ১৫দিন রুকসানাকে আটকে রাখে বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩১ অক্টোবর মুস্তফার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৪৯৮ ধারায়, যৌতুক আইন ও তিন তালাক আইনের আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুশাইগুদার সার্কেল ইন্সপেক্টর কে চন্দ্রশেখর সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, রুখসানা বেগমের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি যে তার স্বামী রুখসানার গজদাঁতের জন্য নানাভাবে হেনস্থা করত এবং অতিরিক্ত যৌতুকের জন্য চাপ দিত, এবং মারধরের পরে রুখসানাকে মুস্তফা তিন তালাক দিয়েছে।
রুখসানা বেগম বলেন, বিয়ের সময় মুস্তাফা ও তার পরিবার অনেক কিছুই দাবি করেছিল এবং আমার পরিবার তাদের দাবি পূরণও করেছিল। বিয়ের পরে মুস্তাফা ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে হেনস্থা করতে শুরু করে, আমাকে বাড়ি থেকে আরও সোনা আর টাকা আনতে চাপ দিতে থাকে। এমনকি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে একটি বাইকও নিয়েছিলেন মুস্তাফা।
রুখসানার অভিযোগ, মুস্তাফা ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে নিয়মিত নির্যাতন করত এবং শেষ পর্যন্ত মুস্তাফা বলেছিলেন যে, আমার গজদাঁত, তাই তিনি আমাকে পছন্দ করেন না এবং আর আমার সঙ্গে থাকতেও চান না। আমাকে বাড়ির ভিতরে ১০ থেকে ১৫ দিন আটকে রেখেছিল। তালাক দেওয়া ও যৌতুক দাবি করার জন্য আমার স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি বিচার চাই।