ধর্ষকদের জেলে খাওয়ানো হল মটন কারি- ফ্রায়েড রাইস, জেলে ‘জামাই আদর’ কেন ?
হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদে তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। প্রতিবাদের ঝড় বইছে কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরে, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আট থেকে আশি। কেউ চাইছেন দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক। ৪ অভিযুক্তের মধ্যে একজনের মায়ের আর্জি, তার ছেলেকেও পুড়িয়ে মারা হোক। এহেন পরিস্থিতিতে ধর্ষকদের নিয়ে নয়া তথ্য সামনে এল।
তেলঙ্গানার চেরাপল্লীর সেন্ট্রাল জেলে প্রথম দিনই ধর্ষণে অভিযুক্তদের খেতে দেওয়া হয় মটন কারি আর ফ্রায়েড রাইস ৷ জেলেরই এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলের নিয়ম অনুযায়ী অভিযুক্তদের চারজনকে দুপুরে ডাল-ভাত এবং রাতে মটন কারি খেতে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এমন বর্বোরচিত অপরাধ করার পরে যখন অভিযুক্তদের পিটিয়ে মারার দাবি উঠছে, তখন জেলে ধর্ষকদের রাজকীয় কায়দায় আদর-আপ্যায়ন করে খাওয়ানো হচ্ছে কেন? প্রশ্ন তুলেছেন আমজনতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তীব্র প্রতিবাদ। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, এ কেমন দেশ, যেখানে দেশের নাগরিকদের একটা বড় অংশ ঠিক করে খেতে পায় না। খালি পেটে, খালি গায়েই রাস্তায় শুয়ে থাকেন। সেখানে পাশবিক, নৃশংস অপরাধে যুক্ত অপরাধীদের জেলে বিশেষ নিরাপত্তায় মটন কারি- ফ্রায়েড রাইস খাওয়ানো হচ্ছে ৷
এই প্রসঙ্গে কেউ কেউ আবার ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় অভিযুক্ত জঙ্গি আজমল কাসভের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন। পুরো বিচার ব্যবস্থা চলাকালীন জেলের খাবার খেতে না পারায় কাসভকে মাটন বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সোমবার সংসদে দোষীদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারার দাবি জানিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জয়া বচ্চন। ফাঁসির দাবিও তুলেছেন বহু মানুষ। দোষীদের পুড়িয়ে মারার দাবি তুলেছেন স্বয়ং মৃতার মা। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে উত্তাল গোটা দেশ। সেই অভিযুক্তদেরই কিনা জেলে বসিয়ে করা হচ্ছে জামাই আদর! উঠছে প্রশ্ন।