‘এমন না হলে নির্ভয়া কাণ্ডের মতো ৭ বছর লাগত, অপরাধীরা জেলে বসে বিরিয়ানি খেত’
কলকাতা: গত ২৮ নভেম্বর হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সী তরুণী পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মারা হয়। নিশংস ওই ঘটনায় প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। এই ঘটনায় ৪ অভিযুক্তের কঠোর সাজার দাবিতে সরব হয় দেশবাসী। শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত ৪ অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে।
এনকাউন্টারের ঘটনায় উচ্ছাসিত বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। এদিন অভিনেত্রী-সাংসদ বলেন, একদম ঠিক হয়েছে, খুব ভালো হয়েছে, উচিত শাস্তি। হয়তো অনেকে প্রশ্ন তুলবেন, সাংসদ হিসাবে এই কথা বলছি। এমন না হলে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মতো ৭ বছর লাগত, তাও সাজা হত না। অপরাধীরা জেলে বসে বিরিয়ানি খেত। নির্ভয়ার খুনিদের এখনও শাস্তি হল না। সেদিক থেকে একদম ঠিক হয়েছে।
হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বললেন, সকাল খবরটা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। মেয়েটির আত্মা শান্তি পেয়েছে। হায়দরাবাদ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান টুইটারে লিখেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত…আইন/বিচারব্যবস্থার কাউকে বিচারের ব্যাটন হাতে তুলে নিতে হয়। দোষীদের অস্তিত্ব নেই।
তৃণমূল সাংসদ তথা টলিউড সুপারস্টার দেব টুইটারে লিখেছেন, ধন্যবাদ হায়দরাবাদ পুলিশ। এটা দরকার ছিল। এদিকে, এনকাউন্টারের খবর প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ কর্মীদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন অনেকেই। পুলিশের চলার পথ গোলাপের পাপড়িতে ভরিয়ে দেওয়া হল, হায়দরাবাদবাসী পুষ্প বৃষ্টি করছেন। অনেকেই মনে করছেন, সাইবারাবাদ পুলিশের তৎপরতায় ন্যায় বিচার পেলেন হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক।