উপনির্বাচনের ফলাফলের প্রভাব ২০২১-এ পড়বে না, বাংলায় NRC হবেই: অমিত শাহ
নয়াদিল্লি: উপনির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রেই জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল। ধরাশায়ী লোকসভায় রাজ্যের দ্বিতীয় শক্তি হিসাবে উঠে আসা বিজেপি। মাত্র মাস ছয়েক আগে কালিয়াগঞ্জে লোকসভা নির্বাচনে ৫৬ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিল বিজেপি। অথচ, উপনির্বাচনের ফলে এখানে তৃণমূল প্রার্থী তপনদেব সিংয়ের কাছে ২৩০৪ ভোটে পরাজিত হলেন বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার।
এই হারের পরে বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকার বলেন, এনআরসির জন্যই হেরে গেলাম। দেশভাগের ক্ষত বুকে বেঁচে থাকা বাংলায় এনআরসিই কাল হল বিজেপির। তাহলে বাংলায় কি এনআরসি হবে না ?
বাংলায় এনআরসি কার্যকর করার ক্ষেত্রে এখনও অটল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রে হারের পরও দমে যাননি অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুঙ্কারের সুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফের বলেন, প্রথমে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস করা হবে। তারপর বাংলায় এনআরসি চালু করা হবেই। এই হার এনআরসির জন্য হয়েছে বলেও মানতে নারাজ তিনি।
প্রসঙ্গত, এনআরসি বিতর্কে মুখে অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে বলেন, এনআরসি নিয়ে মমতাদি মিথ্যাচার করছেন। উনি বলেছেন, লাখো লাখো হিন্দু শরণার্থীকে তাড়ানো হবে। আমি বলছি, কোনও হিন্দু শরণার্থীকে ভারত ছাড়া করা হবে না। বাংলায় একজনও হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান শরণার্থীদের এনআরসি করে বিতাড়িত করা হবে না। এজন্য দেশে আগে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনা হবে।
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ভারতীয় নাগরকিত্ব দেওয়া হবে। অন্যভাবে বললে, ভারতের প্রতিবেশী মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলির অমুসলিম অভিবাসীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যেই এই বিল।