‘রাম মন্দির ইস্যুতে হিন্দুরা ধৈর্য্য হারালে দেশে বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে’
নয়াদিল্লি: সোমবার অযোধ্যা মামলার শুনানি জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হবে ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে। পাশাপাশি মামলাটির শুনানির জন্য নয়া ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হতে পারে। এর মধ্যেই বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে তুঙ্গে পৌঁছেছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার। তাঁর হুমকি রাম জন্মভূমিতে মন্দিরই হবে। এর বিপরীতে আদালত রায় দিলে দেশজুড়ে শুরু হবে প্রবল আন্দোলন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, হিন্দুদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে পড়ছে। আমার ভয় হচ্ছে এবার হিন্দুরা কোনও অনর্থ করে ফেলবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হুমকি, তাঁরা যদি ধৈর্য হারায় তাহলে কোনও কিছুই ঘটে যেতে পারে। মন্দির বানানোর জন্য হয় সরকার নতুন আইন তৈরি করুর নয়তো আদালত রায় দিক।
Ab Hinduon ka sabr tut raha hai. Mujhe bhay hai ki Hinduon ka sabr tuta toh kya hoga: Union Minister Giriraj Singh on #RamTemple matter pic.twitter.com/XqWsuIk8lJ
— ANI (@ANI) 29 October 2018
গিরিরাজ সিংয়ের অভিযোগ, কংগ্রেস চায় রাম মন্দির ইস্যুটি জিইয়ে থাকুক। কপিল সিব্বল নিজে বলেছেন অযোধ্যা মামলায় রায় এখন বের হওয়া উচিৎ নয়। অর্থাৎ কংগ্রেস চায় না শীর্ষ আদালত অযোধ্যা মামলার রায়দান করুক। কিন্তু ১২৫ কোটি হিন্দু আর অপেক্ষা করতে চায় না। অনেক হয়েছে।
এদিকে, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিসগড় ও মিজোরামের বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই রাম মন্দির নিয়ে সুর চড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। সম্প্রতি বিজেপি মুখপাত্র জিভিএল নরসিংহ রাও বলেন, বিজেপি রাম মন্দির তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর। আরএসএসের পক্ষ থেকেও রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে সুর চড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি আরএসএস মোহন ভাগবত প্রধানও মন্দির নির্মাণ নিয়ে একটি আইন তৈরির দাবি করেন।