Sunday, March 16, 2025
আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে হিন্দু স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলা, ৩ টি মন্দির ভাংচুর

ইসলামাবাদ: পাকিস্তানে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। রবিবার ইসলাম-বিরোধী মন্তব্যের জেরে পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে এক সংখ্যালঘু হিন্দু শিক্ষকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, তিনটি মন্দির ভাঙচুর করা ছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি স্কুল এবং বেশ কিছু বসতবাড়িতে লুঠতরাজ চালানো হয়েছে বলে খবর।

পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিন্ধ পাবলিক স্কুলের শিক্ষক নোটন মালের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ জানান আবদুল আজিজ রাজপুত নামে এক অভিভাবক। ওই অভিভাবকের দাবি, স্বয়ং নবী হযরত মহম্মদ (সাঃ)-এর নামে কুৎসা রটিয়েছেন ওই শিক্ষক।

সিন্ধ প্রদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই স্কুল শিক্ষক নোটন মালের বিরুদ্ধে ঘোটকি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিক্ষিপ্ত মারধর ও তাঁদের নিশানা করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশি হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করেছে বলে জানা গেছে।

পাকিস্তান হিন্দু কাউন্সিলের প্রধান রমেশ কুমার বাঁকওয়ানি জানিয়েছেন, এই অভিযোগের তদন্তভার পড়েছে ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল নইম শেখের উপর। তাঁর দাবি, বিক্ষোভকারীরা একটি স্কুলের সম্পত্তি নষ্ট করার পাশাপাশি তিনটি হিন্দু মন্দিরেও হামলা চালায় এবং বেশ কিছু বসতবাড়িতে লুঠতরাজ চালায়।

আর এই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে পুলিশের উপস্থিতিতেই এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের। বিক্ষোভকারীদের এই বিক্ষোভ আন্দোলনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে গোটা বিক্ষোভের ছবি ধরা পড়েছে। এই ঘটনার পরে সিন্ধ প্রদেশের ঘোটকি এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দুরা এখন চরম ভয়ের মুখে দিন কাটাচ্ছে। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থী নেতা মিঞা মিঠু এবং তার দলবল এই হামলার সাথে জড়িত রয়েছে। এদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হিংসাত্মক হামলার ভিডিও দেখে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন।