যুদ্ধ কি আসন্ন? গ্যাস মজুদের নির্দেশ, খালি করা হচ্ছে স্কুল
শ্রীনগর: পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় ভারত ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত। এদিকে, কাশ্মীরের বাসিন্দাদের বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের জন্য রান্নার গ্যাস মজুদ করতে। তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থাগুলোকেও কাশ্মীরে আগামী দু’মাসের জন্য পর্যাপ্ত এলপিজি মজুদ রাখতে বলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের এই নির্দেশিকায় সিদুঁরে মেঘ দেখছেন।
তাহলে চিন নাকি পাকিস্তান, কার সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ? জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের নয়া এই নির্দেশিকায় তেমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কাশ্মীরে যেন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে যুদ্ধ-প্রস্তুতি। যদিও প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ভূমিধ্বসের কারণে জাতীয় সড়কে পণ্য পরিবহণ ব্যাহত হতে পারে। তাই কাশ্মীরে আগামী দু’মাসের জন্য এলপিজি গ্যাসের পর্যাপ্ত মজুদ রাখতে বলা হয়েছে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এলাকার ১৬টি স্কুল নিরাপত্তা কর্মীদের জন্যে ব্যবহার করা হবে। তাই যেন খালি করে দেওয়া হয় স্কুলগুলো। স্থানীয়দের মতে, সরকারের তরফে যে কারণই দেখানো হোক না কেন, আগের অভিজ্ঞতা তাদের রয়েছে। তাই বেশ বড় ধরনের কিছুই যে ঘটতে চলেছে, তা নিয়ে নিশ্চিত তারা।
সম্প্রতি গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, পাকিস্তানের ভিসা থাকা ২৫০ কাশ্মীরি যুবক হঠাৎই উধাও হয়ে গেছে। ভারতে অনুপ্রবেশের জন্যে সীমান্তে অপেক্ষা করছে প্রায় ৪০০ জঙ্গি। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীরের বাতাস ভালো নয় বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সাধারণত অক্টোবর থেকে নভেম্বরে তীব্র শীতের সময় এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে থাকে। তুষারপাতের কারণে সড়কে পণ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই ওই ঋতুতে এলপিজি মজুদের পরিমাণ বাড়ানো হয়। তাই কাশ্মীরিদের ভীতি একেবারেরই অমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।