Tuesday, March 25, 2025
আন্তর্জাতিক

এবার ইমরান খানের সভাতেই উঠল ‘গো ব্যাক ইমরান’, ‘কাশ্মীর বনেগা হিন্দুস্থান’ স্লোগান

ইসলামাবাদ: ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর রাষ্ট্রপুঞ্জে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেকে কাশ্মীরিদের ‘মসিহা’ হিসেবে নিজেকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যেই শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে সভা করলেন তিনি। তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদের জনসভাতেই তাঁকে শুনতে হলো ‘গো ব্যাক ইমরান’ এবং ‘কাশ্মীর বনেগা হিন্দুস্থান’ স্লোগান।

শুক্রবার খান কাশ্মীরিদের উপর ভারতের নিপীড়নের বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে একটি বার্তা দেওয়ার জন্য মুজাফফারাবাদে জনসভা করেন। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের ওপরে অত্যাচার করছে ভারত। ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে আমাদের। গোটা বিশ্বকে ভারতের নিপীড়নের বিষয়ে অভিহিত করা হবে। ইমরানের মুখে এটা শুনে উপস্থিত জনতা উল্লাস করার পরিবর্তে ‘গো ব্যাক নিয়াজি’, ‘কাশ্মীর বনেগা হিন্দুস্থান’ স্লোগান দিতে থাকেন। মূলত, তাঁরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করার জন্য এই স্লোগান দিতে থাকেন।


‘গো ব্যাক নিয়াজি’, ‘কাশ্মীর বনেগা হিন্দুস্থান’ স্লোগান দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে কয়েকশো যুবককে আটক করা হয়। জানা গেছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার অপরাধে কর্তৃপক্ষ দুই শতাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিনের জনসভা করার আগে ইমরান খান তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরীদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ বিষয়ে গোটা বিশ্বকে একটি বার্তা পাঠাতে ১৩ সেপ্টেম্বর মুজফফারাবাদে একটি ‘বড় জলসা’ করতে যাচ্ছি। তবে তাঁর সেই ‘বড় জলসা’ আদতে ‘ফ্লপ শো’-তে পরিণত হলো সেটা বলা বাহুল্য।

ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করা হয়েছে এবং রাজ্য দুটিকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। ইসলামাবাদ নয়াদিল্লির এই ঐতিহাসিক সিদ্ধানতের বিরুদ্ধে শুধু থেকেই উচ্চস্বরে চিৎকার করেই চলেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জেও বিষয়টি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছ। যদিও চিন ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কোনও সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান।