ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ আসলে ‘সন্ত্রাসের পীঠস্থান’: গিরিরাজ সিং
লখনউ: উত্তরপ্রদেশের ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দকে ‘সন্ত্রাসের পীঠস্থান’ বলে মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিং। তিনি বলেন, জানি না দেওবন্দ শিক্ষার মন্দির না সন্ত্রাসের মন্দির। তাঁর দাবি, মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সাঈদ ও আইএস প্রধান বাগদাদি এই প্রতিষ্ঠানেরই ছাত্র ছিল।
তিনি বলেন, এখানে মানবকল্যাণের পাঠ দেয়া হয় নাকি মানব নিধনের শিক্ষা দেয়া হয়? কারণ, বাগদাদি মানুষ নিধন করছে। অন্যদিকে, হাফিজ সাঈদ ২৬/১১তে মুম্বাই হামলা করে। এরা দু’জনেই দেওবন্দের শিক্ষার্থী ছিলেন এমনটাই লোকে আমাকে জানিয়েছে। এজন্য আমি মনে করি এটা শিক্ষার মন্দির নয়, এটা সন্ত্রাসবাদের মন্দির।
Union Minister Giriraj Singh: I went to Brahmananda Saraswati’s gurukul, till this date no child from there became a terrorist. However, I don’t know whether Darul Uloom Deoband is a temple of education or a temple of terrorism. Both Hafiz Saeed & Baghdadi were from here. pic.twitter.com/qCE7vaUoLP
— ANI (@ANI) 29 November 2018
এরপরই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কে মুখ খুলে দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উদ্দেশে বলেন, মুসলিমদের প্রতি আমার আবেদন যে, দেশের ১০০ কোটি হিন্দুও আসলে তাঁদের ভাই। আপনারা দেশে তিন লক্ষ মসজিদ বানিয়েছেন, কেউ আপনাদের বাধা দেয়নি। তাই বলে আপনারা হিন্দুদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। ভগবান রামের প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে এবং অযোধ্যাতেই তাঁর মন্দির তৈরি হবে। হিন্দুদের বিশ্বাসের মূল ভিত্তিই হল রাম। কংগ্রেসই এই বিষয়টিকে হিন্দু-মুসলিম ইস্যুতে বিভাজন করেছে বলেও দাবি করেন গিরিরাজ।
গিরিরাজ সিংয়ের এই বক্তব্যের পরই অবশ্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দারুল উলুম দেওবন্দ কর্তৃপক্ষ। জমিয়ত দাওয়াতুল মুসলেমিনের পৃষ্ঠপোষক ও বিশিষ্ট আলেম ক্বারী ইসাহাক গৌড়া বলেছেন, দারুল উলুম দেওবন্দের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও নিম্নমানের অভিযোগ আরোপ করা দেশের দায়িত্বশীল কোনও মন্ত্রীর পক্ষে শোভনীয় নয়। তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত।