চিকিৎসককে গণধর্ষণের পর জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গ্রেফতার ৪ অভিযুক্ত, ফাঁসির দাবি দেশবাসীর
হায়দরাবাদ: বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় ২৬ বছরের পশু চিকিৎসকের দগ্ধ দেহ। শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল ওই তরুণীর। দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল তেলেঙ্গানা পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ওই তরুণীর স্কুটিটিও।
পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীকে সামশাবাদের টোলপ্লাজার কাছে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। টোলপ্লাজার কাছ থেকেই তরুণীর পোশাক, ব্যাগ, জুতো এবং একটি মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পর প্রমাণ লোপাটের জন্য ট্রাকে দেহ নিয়ে গিয়ে সদনগরে জ্বালিয়ে দেয় ট্রাক ড্রাইভার ও খালাসি। দেহের পাশে আধ পোড়া কয়েক টুকরো পোশাক উদ্ধার হয়েছে।
কেরোসিন কিংবা পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তরুণীকে। শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার একটি গ্যারেজের সামনে থেকে ওই তরুণীর স্কুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই গ্যারেজের মালিক বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ টা নাগাদ এক যুবক গ্যারেজে ওই স্কুটিটি আনে। টায়ার সারিয়ে দেওয়ার কথা বলে। সারাতে সময় লাগবে বলায় স্কুটি রেখে চলে যায় ওই যুবক।
Cyberabad Police on rape and murder of a woman veterinary doctor: Request will be made to handover the case to the fast track court, Mahbubnagar to expedite the prosecution for maximum punishment to the accused persons. #Telangana https://t.co/CBbVV02J0z
— ANI (@ANI) November 29, 2019
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে, বুধবার রাত ৯ টার সময় টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছন ওই তরুণী। তখন তাঁর স্কুটির চায়ার পাংচার হয়ে যায়। তিনি তাঁর বোনকে ফোন করেছিলেন, টায়ার পাংচার হয়ে গিয়েছে সেটা বোনকে জানায়। এক ট্রাক ড্রাইভার তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও ওই ট্রাক ড্রাইভারদের আচরণ তাঁর সুবিধে লাগেনি। তখন তাঁর বোন পরামর্শ দেন, ট্রাক ছেড়ে একটি ক্যাব বুক করে বাড়ি ফেরার। এরপর থেকেই তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বৃহস্পতিবার ভোরে একটি ব্রিজের নিচ থেকে ওই তরুণী চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে একটি ট্রাকের চালক এবং খালাসিকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদেরকে জেরা করে আরও দু’জনের খোঁজ পায় পুলিশ।