‘প্রণবদা একজন লেজেন্ড, খুব মনে পড়বে’, শোকস্তব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা: প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে মমতা লিখেছেন, গভীর দুঃখের সঙ্গে এটা লিখছি। ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায় আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। একটা যুগের অবসান হল। দশকের পর দশক ধরে তিনি পিতৃতুল্য ছিলেন। আমার প্রথম সাংসদ হওয়া থেকে মন্ত্রিসভায় প্রথম জায়গা পাওয়া, সব সময় তাঁকে দাদা হিসেবে পাশে পেয়েছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রাষ্ট্রপতি হন।
সোমবার সন্ধ্যায় টুইটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, কত স্মৃতি রয়েছে। প্রণবদাকে ছাড়া দিল্লি সফর অকল্পনীয়। রাজনীতি থেকে অর্থনীতি, সব ক্ষেত্রেই উনি একজন লেজেন্ড (কিংবদন্তী)। সবসময় কৃতজ্ঞ থাকব। গভীরভাবে মিস করব তাঁকে। আপনার কথা খুব মনে পড়বে। সঙ্গে সমবেদনা জানালেন প্রণববাবুর পুত্র অভিজিৎ ও কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়কে। একটা যুগের অবসান হল।
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার ছোট্ট গ্ৰাম মিরাটি থেকে ভারতের ত্রয়োদশ রাষ্ট্রপতি হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন তিনি। দেশের অর্থমন্ত্রী হন দু’বার। ইন্দিরা গান্ধীর অর্থমন্ত্রী তিনি। আবার মনমোহন সিংহের অর্থমন্ত্রীও হয়েছেন তিনি।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার ছোট্ট গ্ৰাম মিরাটি গ্রামে। পুজোর সময় আর ফিরবে না ঘরের ছেলে। আর শোনা যাবে না তাঁর কণ্ঠে চণ্ডীপাঠ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন পুজোর সময় প্রতিবার নিয়ম করে বাড়ি আসতেন পাড়ার ‘পল্টু’। নিজে হাতে আয়োজন করতেন গোটা পুজোর। বোধন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত থাকতেন গ্রামে।
চার দিনের এই সফরে প্রণববাবুর কাছে অভাব অভিযোগ নিয়ে হাজির হতেন হাজার হাজার মানুষ। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে দেখা যেত তাঁর বাড়িতে। মুখুজ্যেবাড়ির দালানের সেই চেয়ারটা শূন্য হয়ে গেল চিরদিনের জন্য।


