Friday, March 29, 2024
দেশ

‘ফেসবুকে মুসলিমদের ছবি দেওয়া ইসলাম বিরোধী’ ফতোয়া জারি

শাহারানপুর (উত্তরপ্রদেশ), ১৮ অক্টোবর: মুসলিমদের ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল সাইটে ছবি দেওয়ার উপরে ফতোয়া জারি করল উত্তরপ্রদেশের শাহারনপুর জেলার বহুল পরিচিত মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় দারুল উলুম দেওবন্দ।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দারুল ইফতা ফতোয়া জারি করে জানিয়েছে, “মুসলিম পুরুষ ও নারীদের সোশাল মিডিয়ায় নিজেদের বা তাঁদের পারিবারিক সদস্যদের ছবি পোস্ট করা উচিত নয়। কারণ এই ধরনের কাজ ইসলাম বিরোধী।”

কিছুদিন আগে দারুল ইফতা-র ফতোয়া বিভাগে এক ব্যক্তি লিখিত আবেদন করে জানতে চান, ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ও স্ত্রীর ছবি দেওয়া কি ইসলাম বিরোধী কাজ ? এই আবেদনের পরই আজ ফতোয়া জারি করল মুসলিম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৯ অক্টোবর মুসলিম নারীদের ভুরু প্লাক, ছাঁটাই ও সৌন্দর্যায়ন করার বিরোধিতা করে ফতোয়া জারি করে দারুল উলুম দেওবন্দ। সংগঠনটির প্রধান মওলানা কাজমি জারি করা ফতোয়ায় বলেন, মুসলিম নারীদের রূপচর্চা ও চুল কাটার মতো কাজ ইসলামের নিয়মবিরুদ্ধ। তাই নারীদের পার্লারে যাওয়া উচিত নয়। শুধু তাই নয়, চুল কাটতেও পারবেন না কোনো মুসলিম নারী।

মুসলিম নারীদের অবশ্যই পার্লার জাতীয় জায়গা থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ রূপচর্চার কারণেই অন্যান্য পুরুষরা তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ওঠেন বলেও মন্তব্য করেন মওলানা কাজমি।

কিছুদিন আগে দারুল উলুম দেওবন্দের প্রধান আল্লামা মুফতি আবুল কাসেম নোমানী তাঁর ফতোয়ায় উল্লেখ করেন, পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরির মতো একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ইসলামে ছবি তোলা হারাম। কোরআন, হাদিস, ইজমা ও কিয়াসের ভিত্তিতে পৃথিবীর সব ইমাম ও ফিকহ বিশেষজ্ঞ ও সমকালীন মুফতিদের অভিমত হলো, অতি প্রয়োজন ছাড়া ছবি তোলা, আঁকা এবং তা প্রকাশ করা জায়েজ নয়। (ফিকহি মাকালাত; তকি উসমানী : ৪/১২৩)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর বাণীতে তো আরো কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হাশরের দিন সর্বাধিক আজাবে আক্রান্ত হবে তারাই, যারা কোনো প্রাণীর ছবি তোলে অথবা আঁকে। ‘ (বুখারি : ৫/২২২২)