‘মেয়ের আত্মা শান্তি পেল’, এনকাউন্টারে খুশি নির্যাতিতার পরিবার
হায়দরাবাদ: তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে ২৬ বছরের পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারে খতম করল পুলিশ। যেখানে নিগৃহীতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে ঘটনার পূনর্নির্মাণের জন্য শুক্রবার ভোররাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চার অভিযুক্তকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনা পূনর্নির্মাণের সময়ই পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এসময় পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডের চার অভিযুক্ত মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন এবং চিন্তকুন্ত চেন্নকেশভুলুর। পুলিশি জেরায় অভিযুক্তরা আগেই স্বীকার করে নিয়েছিল গণধর্ষণ-খুন কাণ্ডের কথা।
ঘটনার ১০ দিন কাটতে না কাটতেই এনকাউন্টারে অভিযুক্তদের মৃত্যুতে খুশি নির্যাতিতার পরিবার। মৃত পশু চিকিৎসকের বাবা জানান, আমি পুলিশ এবং সরকারকে গোটা ঘটনার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এবার তাঁর মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।
Father of the woman veterinarian on all 4 accused killed in police encounter: It has been 10 days to the day my daughter died. I express my gratitude towards the police & govt for this. My daughter’s soul must be at peace now. #Telangana pic.twitter.com/aJgUDQO1po
— ANI (@ANI) December 6, 2019
নির্যাতিতার বোন জানান, তিনি খুবই খুশি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মৃত পশু চিকিত্সকের কাকা পেশায় যিনি অধ্যাপক তিনি বলেন, এই ঘটনার পর নিশ্চয়ই এমন অপরাধ করার আগে লোকের মনে ভয় সৃষ্টি হবে।
তাঁর কথায়, আমরা শিক্ষকেরা নিজেরা খুশি হওয়ার জন্য ছাত্রদের শাস্তি দিই না। তারা যাতে একই ভুল আবার না করে, সে জন্য তাদের শাস্তি দিই। একটি বাচ্চার সঙ্গে যা হয়েছে, তা যাতে অন্য কারও সঙ্গে না হয়, তার জন্যই শাস্তি দিই। পুলিশও এটা করতে চাইনি। ছাড়া পেলেই আবারও একই অপরাধ করত অভিযুক্তরা।