Thursday, January 23, 2025
দেশ

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দেবেন্দ্র ফড়নবীস বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নিলেন। পাঁচ বছর পর তিনি আবারও এই শীর্ষ পদে ফিরে এলেন। মুম্বাইয়ের ঐতিহাসিক আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি ছিল তারকাখচিত। সেখানে রাজনীতি ও বিনোদন জগতের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

ফড়নবীসের সঙ্গে শিবসেনার প্রধান একনাথ শিন্ডে এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতা অজিত পাওয়ার উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মহারাষ্ট্রের মহাযুতি সরকারের আগের মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী থাকা শিন্ডে, দীর্ঘ আলোচনা শেষে উপ-মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দেন।

ফড়নবীসের এই নতুন মেয়াদ শুরু হয়েছে মহাযুতি জোটের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে দুই সপ্তাহের তীব্র আলোচনার পর। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পর এই আলোচনা শুরু হয়। একাই ১৩২টি আসন জিতে বিজেপি জোটে নিজের শক্ত অবস্থান নিশ্চিত করে।

মহাযুতি নির্বাচনে জয়লাভের ক্ষেত্রে শিন্ডের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে তিনি প্রথমে অনিচ্ছুক ছিলেন। গত দুই দিনে ফড়নবীস ও শিন্ডে একাধিকবার আলোচনায় বসেন এই মতপার্থক্য মেটানোর জন্য।

শিন্ডে প্রথমে মন্ত্রিসভায় নিজের পদ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। শোনা যায়, বিজেপি শিবসেনাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং বিধানসভার স্পিকারের পদ দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি অসন্তুষ্ট হন। বুধবার রাজভবনে ফড়নবীসের সঙ্গে গেলেও শিন্ডে নিজের সিদ্ধান্ত জানাতে রাজি হননি। তিনি তখন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি এখনও সরকারের অংশ হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।”

বৃহস্পতিবার সকালে শিবসেনার সিনিয়র নেতা উদয় সামন্ত জানান, শিন্ডের সমর্থনে বিধায়করা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন এবং যদি শিন্ডে সরকারে না থাকেন, তবে তারাও মন্ত্রিত্বের আশা ছেড়ে দেবেন।

এরপর বিজেপির সিনিয়র নেতা গিরিশ মহাজন শিন্ডের বাসভবনে যান, যা আলোচনার শেষ পর্যায়ের ইঙ্গিত দেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামন্ত ঘোষণা করেন, শিন্ডে শপথ নিতে সম্মত হয়েছেন।

আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান ছিল অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ। প্রায় ৪২,০০০ মানুষ ফড়নবীসের শপথ গ্রহণ দেখতে হাজির হয়েছিলেন। বলিউড তারকা শাহরুখ খান, সালমান খান, রণবীর কাপুর, রণবীর সিং, আলিয়া ভাট, মাধুরী দীক্ষিত, ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকর, শিল্পপতি কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং মুকেশ আম্বানির মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীরা এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে যোগ দেন।