জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখিত: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
লন্ডন: ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ১৯১৯ সালে ১৩ এপ্রিল ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অমৃতসরে জালিয়ানওয়ালা বাগে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে নিরস্ত্র প্রতিবাদীদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছিল ব্রিটিশ সেনা। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে প্রায় ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে তৎকালীন সরকারি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছিল। যদিও ভারতীয় গবেষকদের মতে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে হাজার ছিল।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের এবার শতবর্ষ। ১৩ এপ্রিলের আগে ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন সরকারের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি তোলেন। তারপরই সাংসদে টেরেসা জানিয়েছেন, সেদিন যা ঘটেছিল তার জন্য অনুতপ্ত। ভারত-ব্রিটেনের ইতিহাসে এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক এক ঘটনা, জানিয়েছেন টেরেসা। তবে দুঃখপ্রকাশ করলেও ক্ষমা চাননি টেরেসা।
‘The tragedy of #JallianwalaBagh in 1919 is a shameful scar on British Indian History. We deeply regret what happened and the suffering caused’: Theresa May, PM of the UK
Credits: UK Parliament pic.twitter.com/JwHgE85cUE
— All India Radio News (@airnewsalerts) 10 April 2019
১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে সমবেত জনতার ওপর টানা ১০ মিনিট গুলি চালানো হয়। গুলি চালানোর আগে জালিয়ানওয়ালাবাগ চত্বরের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সেনারা। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শুধু ভারত নয়, ব্রিটেনও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ব্রিটিশদের দেওয়া ‘নাইট’ খেতাব পরিত্যাগ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
এর আগে ১৯২০ সালে ব্রিটেন উইনস্টন চার্চিল এই হত্যাকাণ্ডকে ‘দানবীয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে ভারত সফরে এসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বলেছিলেন, জালিয়ানওয়ালাবাগ কাণ্ড ব্রিটিশ ও ভারতের ইতিহাসে একটি বেদনাকাতর উদাহরণ। ২০১৩ সালে ভারত সফরে এসে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডকে ‘কলঙ্কজনক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।