তামিলনাড়ুতে ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’র আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫
চেন্নাই: ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’র আঘাতে তামিলনাড়ুতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিয়েছিল। মোট ছয়টি জেলার ৮১ হাজার ৯৪৮ জনকে ৪৭১টি ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু আটকানো গেল না। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে আহতও হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ১২০ কিমি বেগে ভোররাতে তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড়।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় ক্রমাগত বৃষ্টিপাত বাড়ছে। ঝড় ও প্রবল বর্ষণের কারণে অনেক এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে সেখানকার বাতাসের বেগ হঠাৎই বেড়ে যায়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর প্রায় ৪ গুণ বেড়ে গিয়েছিল বাতাসের বেগ। সাধারণের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ ছড়ায়।
State Disaster Management Authority puts the death toll during Cyclone Gaja at 35 ; 1,27,448 trees have fallen during the Gaja Cyclone.
— AIADMK (@AIADMKOfficial) 17 November 2018
উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে স্কুল-কলেজে বৃহস্পতিবারের পর এদিন শুক্রবারও ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামী গোটা পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। রাজ্যের মন্ত্রী এমসি সম্পত ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ও গুরুতর আহতদের ১ লাখ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
My thoughts are with the families of those who lost their lives due to cyclonic conditions in parts of Tamil Nadu. I pray for the quick recovery of those injured. Officials are working towards providing all possible assistance in the wake of the cyclone: PM Modi. #GajaCyclone pic.twitter.com/uqtBvVUkUg
— ANI (@ANI) 16 November 2018
নাগাপট্টিনেম সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে। বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। গোটা এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। কুড্ডালোর, থোন্ডি, পাম্বান, কারাইক্কাল এমনকি পণ্ডিচেরিতেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেখানে অতিবৃষ্টিতে বেশ কিছু বাড়ি ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।