ইসরায়েলি সেনাকে চড় মারা ফিলিস্তিনি কিশোরী তামিমির বিচার শুরু
ইসরায়েলি এক সৈনিককে চড় মারার কারণে গ্রেফতার ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমিকে বিচারের জন্য ইসরায়েলের সামরিক আদালতে হাজির করা হয়েছে। গতকাল আদালতে রুদ্ধদ্বার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

১৭ বছর বয়সী তামিমির বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও সহিংসতায় উসকানির অভিযোগ রয়েছে। এদিকে বিচারকের আদেশে সাংবাদিকদের আদালত কক্ষ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তামিমির স্বার্থে উন্মুক্ত বিচার সহায়ক হবে না বলে রুল জারি করেছেন বিচারক। কেবল পরিবারের সদস্যদের বিচারকক্ষে উপস্থিত থাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যবেক্ষণের জন্য উপস্থিত কূটনীতিকদেরও আদালত কক্ষ ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
১১ বছর বয়সে প্রথম সবার নজরে আসেন তামিমি। সে সময় আহেদের এক ইসরায়েলি সৈন্যকে ঘুষি মারতে চাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এর পরও তার প্রতিবাদী অবস্থান বিভিন্ন সময় বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে। ফিলিস্তিনিদের জাতীয় নায়কে পরিণত হয়েছেন তিনি। রাস্তার ম্যুরাল আর পোস্টারে তার মুখ এখন চিরপরিচিত। আহেদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তার বাবার একটি অনলাইন পিটিশনে ১৭ লাখ স্বাক্ষর পড়েছে।
তামিমি তার পরিবারের সঙ্গে অধিকৃত গাজার পশ্চিমতীরের নবী সালেহ নামক গ্রামে বসবাস করেন। গত বছরের ১৫-ই ডিসেম্বর মায়ের সঙ্গে বাড়ি যাওয়ার পথে দখলদার ইসরাইলি সেনারা তাদের পথরোধ করে। এসময় তামিমি দুই সেনার গালে চড় দেন। অপ্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তামিমির বিচার শুরু হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।