নারীদের যৌনহেনস্থা, ধর্ষণ রুখতে সব রাজ্যকে কড়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের
নয়াদিল্লি: একের পর ধর্ষণের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে এক তরুণীর গণধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। তবে শুধু হাথরাস নয়, গত কয়েক দিনে দেশে একের পর এক ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার ঘটনা সামনে এসেছে। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নারীদের বিরুদ্ধে যৌনহেনস্থা ও ধর্ষণের ঘটনায় রুখতে বদ্ধপরিকর কেন্দ্র। তাই পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যৌনহেনস্থা ও ধর্ষণের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে নির্যাতিতার এফআইআর গ্রহণ করতে হবে পুলিশকে। যদি ঘটনাটি কোনও থানার এলাকার বাইরে হয়, তাহলেও সেখানে এফআইআর নিতে হবে। ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত দু’মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। দোষীদের চিহ্নিত করতে জাতীয় ডেটাবেসও ব্যবহার করতে পারবে পুলিশ।
যদি কোনও মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের না করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কড়া শাস্তি পেতে হবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিককে। একটি ইনভেস্টিগেশন ট্র্যাকিং সিস্টেমও চালু করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কোনও মহিলার ধর্ষণ বা যৌনহেনস্থা করা হলে তাঁর অনুমতি নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সরকারি ডাক্তারের মাধ্যমে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্যাতিতার মৃত্যু হলে, মৃত্যুর আগে পুলিশকে দেওয়া মৌখিক বয়ানকে মান্যতা দিতে হবে। সেই বয়ানই নির্যাতিতার লিখিত বয়ান হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নমুনা সংগ্রহ করা, তা সংরক্ষণ করা, এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্যেও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র।


