শেষ পর্যন্ত নতি স্বীকার করল পাকিস্তান, সোমবার থেকে কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস
নয়াদিল্লি: ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে সোমবার থেকে ভারতের কূটনৈতিক সহায়তা নিতে দেবে পাকিস্তান। গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক আদালত। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে টুইটে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের আইন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়, কূটনৈতিক সম্পর্কিত ভিয়েনা চুক্তি মেনে কুলভূষণ যাদবকে কূটনৈতিক সহায়তা নিতে দেওয়া হবে।
২০১৭ সালের এপ্রিলে কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। তারপর এই প্রথমবার তাঁকে কূটনৈতিক সহায়তা দেওয়া হবে। বেশ কয়েকবার অনুরোধ করার পর, আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত, সেখানে তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতেরও আবেদন জানানো হয়।
Pakistan Ministry of Foreign Affairs: Consular access to Kulbhushan Jadhav will be provided tomorrow, in line with Vienna Convention on Consular relations, International Court of Justice (ICJ) judgement & the laws of Pakistan. pic.twitter.com/W0B15wGKbe
— ANI (@ANI) September 1, 2019
ভারতের তরফে বলা হয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত নৌসেনা আধিকারিক কুলভূষণ যাদব, ইরানে তাঁর ব্যবসা রয়েছে, সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। আন্তর্জাতিক আদাতলের তরফে পাকিস্তানকে বলা হয়েছে, কোনও চূড়ান্ত না দেওয়া পর্যন্ত যেন, তাঁর মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখা হয়।
গত ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক আদালতের তরফে পাকিস্তানকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তাঁর মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখা এবং পুনর্বিবেচনা করতে বলা হয় এবং কোনওরকম দেরি না করে কুলভূষণ যাদবকে ভারতের কূটনৈতিক সহায়তা দিতে বলা হয়।
গত মাসে, পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, কুলভূষণ যাদবকে কূটনৈতিক সহায়তা দেওয়া হবে। যদিও শর্তগুলিতে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ একমত না হওয়ায় সেই সাক্ষাৎ হয়নি। পাকিস্তানের শর্ত ছিল, ভারতীয় কূটনীতিকদের সঙ্গে কুলভূষণ যাদবের সাক্ষাতের সময় উপস্থিত থাকবে তাঁদের এক আধিকারিক। যদিও ভারতের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। ভারতের তরফে বলা হয়, কূটনৈতিক সহায়তার বিষয়টি হবে পুরোপুরি নির্বিঘ্নে এবং আন্তর্জাতিক আদালতের রায় অনুযায়ী।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মার্চে ৪৯ বছর বয়সী কুলভূষণ যাদবকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনে তারা, যদিও তা খারিজ করে দেয় ভারত।