Sunday, September 15, 2024
দেশ

ক্ষমতায় এলে বন্ধ করে দেওয়া হবে RSS-এর সব শাখা, নির্বাচনী ইস্তেহারে দাবি কংগ্রেসের

ভোপাল: মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় এলে বন্ধ করে দেওয়া হবে বিভিন্ন সরকারি অফিসে প্রচলিত রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-র সব শাখা, নির্বাচনী ইস্তাহারে এমনই ‘আজব’ দাবি করল কংগ্রেস। শনিবার ভোপালের রাজ্য কংগ্রেসের সদর দফতর থেকে এই ইস্তেহার পেশ করা হয়। কংগ্রেসের এই দাবিটা প্রকাশ্যে আসতেই মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। বিজেপির পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে সরাসরি আক্রমণ করে তাদের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

অন্যদিকে পি চিদম্বরমের মতো প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাফ সমর্থন জানিয়েছেন দলের ঘোষণাপত্রকে।তিনি বলেছেন, আরএসএস একটি রাজনৈতিক সংগঠন। কোনও সরকারি অফিসে এর কোনও শাখা থাকার কথা নয়। একই রকমভাবে কোনও সরকারি কর্মীও সংশ্লিষ্ট অফিসে থাকাকালীন এই সংগঠনের হয়ে কাজ করতে পারেন না। স্বভাবতই কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারের মধ্যে কোনও ভুল নেই বলে তিনি দাবি করেন।

শনিবারই কংগ্রেসের তরফে মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়। রাজনীতির ভাষায় এটিকে ইস্তেহার বললেও কংগ্রেসের কাছে এটি একটি ‘প্রতিজ্ঞা পত্র’। নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী, বর্তমানে রাজ্যের শাসকদলের বিভিন্ন আধিকারিক স্তরে নিযুক্ত রয়েছেন আরএসএস কর্মীরা। এমনকি, রাজ্যের বিভিন্ন কাজের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন তাঁরা। তবে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। আরএসএস মুক্ত একটি স্বচ্ছ প্রশাসন গঠন করবে কংগ্রেস। এমনটাই দাবি রাজ্যের কংগ্রেসের।

কংগ্রেসের এই দাবিটা প্রকাশ্যে আসতেই রবিবার সারা দেশ জুড়ে প্রবল রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। সম্বিত পাত্র, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ও মুখতার আব্বাস নকভির মতো বিজেপি নেতারা সরাসরি আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস ও তাদের সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। সম্বিত বলেছেন, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের এখন একটাই লক্ষ্য। মন্দির তৈরি করতে দেব না আর আরএসএসের শাখা চলতে দেব না। কংগ্রেস নেতারা ভুলে গিয়েছেন যে, আরএসএস একটা সামাজিক ভূমিকাও আছে, যেখানে কেরলের ভয়াল বন্যার মত বিপদে তাঁরা উদ্ধার কার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। কংগ্রেস বিষয়টিকে শুধুমাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত করতে চাইছে। কংগ্রেসের কাছে দেশের বিভিন্ন অংশে মাওবাদের মত সন্ত্রাসও আদর্শ বিপ্লব। আর যে প্রতিষ্ঠান সামাজিক কাজ করে তাঁদের নিষিদ্ধ করতে চাইছে কংগ্রেস।

নকভিও কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, এমনিতেই কংগ্রেস মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হবে। তার আগে নিজেরাই নিজেদের স্বরূপ প্রকাশ করেছে আরএসএস সম্পর্কে নিজেদের অভিমত জাহির করে।

সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতে, বিষয়টি আদর্শ এবং বিচারধারার। কংগ্রেসের মতে সাধারণ লোকের প্রাণনাশী মাওবাদ বিপ্লবের সমান গৌরবান্বিত হতে পারে। সেই জায়গায় আরএসএসের কন্ঠরোধ করার ক্ষেত্রে তাঁরা অনেক বেশি উৎসাহী।