মন্দিরের ফুল ফেলা হবে না নদীতে, তা থেকে তৈরি হবে ধূপ কাঠি: যোগী আদিত্যনাথ
লখনউ: মন্দিরে অর্পিত ফুল কিছু সময় পরই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। যার ফলে নদীর জল দূষিত হয়। নদীর জলদূষণ রুখতে এবার বড় ঘোষণা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি জানান, এবার থেকে গোরক্ষনাথ মন্দিরে ভগবানের উদ্দেশ্যে দেওয়া ফুল থেকেই ধূপকাঠি এবং আতর তৈরি করা হবে।
রবিবার গোরখপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরের হিন্দু আশ্রমে যান আদিত্যনাথ। সেখানে গিয়ে মন্দিরে দেওয়া এবং ব্যবহৃত ফুল থেকে এক বিশেষ ধরণের ধূপকাঠি তৈরি করেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আশীর্বাদ’।
ভারত মেডিকেলস অ্যান্ড অ্যারোমেটিক প্ল্যান্টস, লখনউ এবং মহোরোগী গোরক্ষনাথ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, গোরখপুরের যৌথ উদ্যোগে এই বিশেষ ধূপকাঠি তৈরি করা হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, মন্দিরে অর্পন করা ফুল কিছুক্ষণ পরই নদীতে কিংবা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হয়। খুব বেশি হলে ২৪ ঘণ্টা ভালো থাকে। এরপর আবর্জনায় পরিণত হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত মেডিকেলস অ্যান্ড অ্যারোমেটিক প্ল্যান্টস এবং মহাযোগী গোরক্ষনাথ কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র যৌথ ভাবে এটির সমাধান এনেছে। মন্দিরে অর্পন করা ফুল, বাড়িতে পুজোর ব্যবহৃত ফুল, বিবাহের কাজে ব্যবহৃত ফুল, এমনকি ফুল চাষের সময় শুকিয়ে যাওয়া ফুল থেকে এবার ধূপকাঠি এবং আতর তৈরি করা হবে।


