জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিআইডি, আটক বন্ধুপ্রকাশের বাবা ও বন্ধু
কলকাতা: জিয়াগঞ্জে স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী এবং শিশুসন্তান খুনের ঘটনায় শনিবার নিহত স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের বাবা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা গেছে, বন্ধুপ্রকাশের বাবা অমর পালের দুটি বিয়ে। অমর পালের প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান বন্ধুপ্রকাশ। তাঁর সঙ্গে অমরের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর অতীতে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ বেঁধেছিল। এমনকি, এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন ছিল বাবা-ছেলের মধ্যে। সেই ব্যাপারে খতিয়ে দেখতেই বন্ধুপ্রকাশের বাবা অমর পালকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, এ ঘটনার তদন্তে যোগ দিয়েছে সিআইডিও।
অন্যদিকে, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া নোট ঘিরেও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই নোটটি বন্ধুপ্রকাশের স্ত্রী বিউটির লেখা বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। ওই দু’পাতার নোট দেখে পুলিশের অনুমান, বন্ধুপ্রকাশ ও তাঁর স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল। ফলে এক্ষেত্রে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের তত্ত্বও সামনে আসছে।
উদ্ধার হওয়া ওই নোটে লেখা রয়েছে, আমি যেটা পারিনি, তোমার ভালো বউ সেটা দেবে। এক্ষেত্রে স্বামীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বিউটি সুখী হওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। এই নোটের সূত্র ধরেই বন্ধুপ্রকাশের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে নিহতের এক আত্মীয়ের দাবি, বিউটির হাতের লেখা বলে যেটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলছে, সেটা একেবারেই ঠিক নয়। কেউ খুনের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ওই নোট রেখে গিয়েছে। সঠিক তদন্ত করলেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
বন্ধুপ্রকাশের বাবা অমর পালের পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু শৌভিক বণিককেও এদিন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা যায়, কয়েক বছর আগে শৌভিকের সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল বন্ধুপ্রকাশের। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিবাদও বেঁধেছিল বলে খবর।