Wednesday, October 9, 2024
আন্তর্জাতিক

এবার ভুটানের ভূখণ্ডকেও নিজেদের বলে দাবি করল চিন

থিম্পু: এবার ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যকে (Sakteng Wildlife Sanctuary) নিজেদের বলে দাবি করল চিন। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের উপর চাপ বাড়াতেই এই নয়া কৌশল চিনের। ভারতের থেকে ভুটানকে দূরে সরাতে সাকতেং অভয়ারণ্য চিন তাদের বলে দাবি করছে। কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এভাবেই ভারতের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলিকে ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে টানতে চাইছে চিন।

ইতিমধ্যেই বিবৃতি দিয়ে চিন জানিয়েছে, ভুটানের পূর্ব, মধ্য এবং পশ্চিম অংশে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সঙ্গে বিবাদ রয়েছে৷ রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে ভুটানের বিবাদে যেন কোনও তৃতীয়পক্ষ হস্তক্ষেপের চেষ্টা না করে৷

উল্লেখ্য, নেপালকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে চিন। বাংলাদেশকেও কাছে টানতে বিভিন্ন টোপ দিচ্ছে চিন। আর ইতিমধ্যেই পাকিস্তানকে নিজেদের দলে টানতে সমর্থ হয়েছে চিন। এবার ভারতকে একা করতে চিনের টার্গেট ভুটান। কূটনৈতিক মহলের মতে, লাদাখ ইস্যুতে ভারতের সাথে সুবিধা না করতে পেরে নয়াদিল্লিকে একঘরে করে রাখার মতলব আটছে চিন। তাই একে একে সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের বিবাদ তৈরিতে মরিয়া চিন।

গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফেসিলিটি (Global Environment Facility) কাউন্সিলের ৫৮ তম বৈঠকে সাকতেং অভয়ারণ্যের জন্য কিছু অর্থ বরাদ্দের দাবি ওঠে। তখনই চিন বলে উঠলো, ওই অভয়ারণ্য ‘বিতর্কিত অঞ্চল’। ওই অভয়ারণ্য সীমান্তে অবস্থিত। ওই অঞ্চল নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে চিনের আপত্তি সত্ত্বেও ভুটান ওই অনুদান পেয়েছে৷

উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই ভুটানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই নাম না করে যে চিন মূলত ভারতকেই আক্রমণ করেছে। লাদাখে সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যেই ভুটানের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, এবার ভুটানের উপর চাপ বাড়াতে চাইছে চিন। যাতে নেপালের মতো তারাও ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখে।