জেলে ৪৩ দিনে ৫ কেজি ওজন কমেছে, চিদাম্বরমের জামিনের আবেদন
নয়াদিল্লি: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরমের আইনজীবী ও তাঁর দলীয় সতীর্থ কপিল সিবাল বলেন, জেল হেফাজতে থাকার পর গত ৪৩ দিনে চিদাম্বরমের ওজন কমেছে ৫ কেজি। পাশাপাশি, শীতের আগমন ও ডেঙ্গুর আতঙ্কের প্রসঙ্গ তুলে কপিল সিবাল বলেন, ৭৪ বছরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা চিদাম্বরমকে জেলে রাখার একমাত্র কারণ তাঁকে ছোট করা। তবে চিদাম্বরমের জামিনের আবেদনের উত্তরে সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, চিদাম্বরম দেশ থেকে পালাতে পারেন এবং অন্য সাক্ষীদেরও প্রভাবিত করতে পারেন।
কপিল সিবাল বলেন, যদি সাক্ষী প্রভাবিক হয়েই থাকেন, তাহলে সরকারের দায়িত্ব তাঁকে সুরক্ষা দেওয়া। উনি কাউকেই প্রভাবিত করেননি। তিনি বলেন, চিদাম্বরমের পাসপোর্ট আটক করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এবং তিনি ভ্রমণের জন্য কোনও আবেদনও করেননি। তাহলে বিমানে দেশ ছাড়ার ঝুঁকির কথা আসছে কেন? দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত রেখেছে।
এদিকে, শুক্রবার আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করল সিবিআই। সিবিআই চার্জশিটে অভিযোগ করেছে, অনৈতিক ভাবে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পিটার মুখোপাধ্যায় এবং ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের থেকে চিদাম্বরম ৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিবিআই জানিয়েছে, চিদাম্বরম ও তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরম এই চুক্তির বিনিময়ে বিরাট অঙ্কের ঘুষ পেয়েছিলেন। বর্তমানে মেয়ে শীনা বোরাকে হত্যার অভিযোগে জেলে রয়েছেন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। তিনিই আইএনএক্স মামলায় চিদাম্বরমের নাম উল্লেখ করেছেন।