Monday, March 24, 2025
Latestদেশ

চাঁদের মাটিতে চার্জড কণার সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার

বেঙ্গালুরু: হার্ড ল্যান্ডিং করার পর চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-এর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাইনি, সে খবর নিশ্চিত করেছে ইসরো। তবে চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার সক্রিয় আছে। পৃথিবীর কক্ষে পাক খেতে খেতেই চাঁদে সতর্ক নজর রেখেছে সে। অরবিটারের হাই সেন্সর ক্যামেরা এবং লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটারে (CLASS) তার প্রথম ক’দি‌নের পর্যবেক্ষণে চাঁদের মাটিতে বিভিন্ন তীব্রতার চার্জড কণা খুঁজে পেয়েছে।

ইসরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চন্দ্রযান ২-এর ওই যন্ত্রাংশ ‘ক্লাস’কে তৈরি করা হয়েছে চাঁদের মাটিতে অবস্থিত উপাদানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করার জন্য। জানানো হয়েছে, এক্স-রে নির্গমনের ফলে ‘ক্লাস’-এর পক্ষে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়।

ক্লাস দেখেছে, দক্ষিণ পিঠে চাঁদের ধুলো বা রেগোলিথের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, টাইটানিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ মৌল। তাদের অণু-পরমাণুর মধ্যে নিরন্তর ধাক্কাধাক্কি চলছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, এই রেগোলিথের মধ্যেই মেটাল অবজেক্ট বা ধাতব বস্তুরও চিহ্ন রয়েছে। যার থেকেই অনুমান করা যায় ল্যান্ডার বিক্রম এই এলাকাতেই মুখ থুবড়ে পড়ে রয়েছে।

ইসরো জানিয়েছে, সূর্য ক্রমাগত ইলেকট্রন ও প্রোটন নির্গত করছে সৌরজগতে। যাকে সৌর বাতাস বলা হয়। সৌর বাতাস প্লাজমা, যার মধ্যে চার্জড কণা থাকে সূর্যের প্রসারিত চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে। এর গতি এক সেকেন্ডে কয়েক হাজার কিমি। এর সঙ্গে সৌর জগতের ক্রিয়া হয়। ফলে পৃথিবী ও চাঁদের সঙ্গেও হয়। কিন্তু পৃথিবীর যেহেতু নিজস্ব চৌম্বকক্ষেত্র আছে, সে সৌর বাতাস প্লাজমাকে আটকে দেয়। এর ফলে তৈরি হয় ম্যাগনেটোস্ফেয়ার।