সীমান্তে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দ একধাক্কায় চারগুণ বাড়াল মোদী সরকার
নয়াদিল্লি: গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হওয়ার পরে সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। উত্তেজনা কমাতে দফায় দফায় আলোচনায় বসে দু’দেশ। জানা গিয়েছে, ২ কিলোমিটার পিছু হটেছে চিনা সেনা। কিন্তু চিনকে আর বিশ্বাস করতে রাজি নয় ভারত। এর আগেও চিন সমঝোতা চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্তে সেনা বাড়িয়েছে।
তাছাড়া ১৯৬২ সালের যুদ্ধে ভারতের পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা। সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সড়ক উন্নয়নে জোর দিয়েছে ভারত। সীমান্তে পরিকাঠামো নির্মাণে গতি আনা হয়েছে। লাদাখে চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের আবহে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের বরাদ্দ একধাক্কায় চারগুণ বাড়লো নয়াদিল্লি।
জানা গিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে সীমান্তে সড়কগুলির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ একধাক্কায় ৩০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০ কোটি টাকা করে দিল কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক (Road Transport and Highways Ministry)। এর ফলে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সড়ক নির্মাণের কাজ অনেক দ্রুত গতিতে এগোবে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনাও হাতে নিয়েছে কেন্দ্র।
জানা গিয়েছে, এবার থেকে লাদাখে একবারে ৫৮৯ কোটি টাকার নয়া সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের অনুমতি মিলবে। এর আগে সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৭২ কোটি টাকা। চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে নতুন জাতীয় সড়ক নির্মাণের সর্বোচ্চ খরচ ১ হাজার ৩৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার লাদাখ সফরে চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মোদী সাফ জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে সড়ক ও সেতু নির্মাণের কাজ কিছুতেই বন্ধ করবে না ভারত। পাশাপাশি, যৌথ উদ্যোগে আর কোনও সড়ক নির্মাণের দায়িত্বও দেওয়া হবে না চিনা কোনও সংস্থাকে।