জুলাইয়ে সর্বাধিক হবে ভারতে সংক্রমণ হার, তারপর ধীরে ধীরে কমবে: হু-কর্তা এবং এইমস বিশেষজ্ঞ
নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউনের ৪৭ তম দিনে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা শনিবারের হিসেব অনুযায়ী ৫৯ হাজার ৬৬২ জন এবং মৃতের সংখ্যা ১,৯৮১ জন। এইমস বিশেষজ্ঞদের মতে, জুলাইতে দেশে সংক্রমণের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছবে। এইমসের অধিকর্তা রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, জুন ও জুলাই মাসে দেশে করোনা সংক্রমণ সর্বাধিক হতে পারে। উল্লেখ্য, ভারতে সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ২৯.৯১ শতাংশ।
বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার (WHO) কর্তা ডা. ডেভিড নাবারো (Dr David Nabarro) বলেন, লকডাউন উঠলেই ভারতে সংক্রমণ বাড়বে। কিন্তু আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। সংক্রমণের ঘটনা বাড়বেই, তারপর ফিরবে স্থিতাবস্থা। তাঁর মতে, লকডাউন উঠলে ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণের হার বাড়বে। তারপর কমবে প্রকোপ।
কেন্দ্রের করোনা মোকাবিলায় দ্রুত লকডাউন ঘোষণার সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বলেন, সঠিক সময়ে লকডাউন ঘোষণা হওয়াতে ভারতে সংক্রমণ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে। লকডাউন জারি করাতে ভাইরাসকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বন্দি করা গিয়ছে। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, দিল্লিতে সংক্রমণ বেশি। আর পরিসংখ্যান বলছে নগর জীবন বেশি প্রভাবিত।
ডা. ডেভিড নাবারো বলেন, ভারত অন্য দেশের চেয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে ভারতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে। ভারতের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কষ্টসাধ্য। লকডাউনের জেরে সংক্রমণ ধীর গতি পেয়েছে। ভারতে ১১ দিনে দ্বিগুণ হচ্ছে সংক্রমণ।