গবেষণারত সকল ভ্যাকসিনের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে অক্সফোর্ড: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
লন্ডন: করোনার কোপে নাজেহাল অবস্থা গোটা বিশ্বের। করোনাকে রুখতে বিশ্বের বহু দেশ ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছে। চলছে তার ট্রায়ালও। সেই প্রেক্ষাপটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) জানালো, এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রস্তুত এবং কার্যকারিতায় এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন। এরপরেই রয়েছে মার্কিন কোম্পানি মডার্না।
হু’র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন বলেন, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারীরা যে যেই অবস্থানে রয়েছে সেই সবদিক বিবেচনা করে বলছি, অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন এবং মডার্না এখনও পর্যন্ত কার্যকারীতায় সবচেয়ে উন্নত। জানা গিয়েছে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন তৈরি শুরু করতে পারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই এই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতার ঘোষণা করবে অক্সফোর্ড। বর্তমানে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বেচ্ছাসেবীদের উপর ব্যাপকহারে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। অন্যদিকে, মডার্নার ভ্যাকসিনটি জুলাইয়ের মাঝামাঝি তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে যাবে। অর্থাৎ অক্সফোর্ডের থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই তাঁরা।
উল্লেখ্য, বিশ্বজুড়ে করোনার টিকা উদ্ভাবনে বিভিন্ন দেশে জোরালো প্রচেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব হয়নি। বিশ্বে তৈরি ২ শতাধিক ভ্যাকসিনের মধ্যে এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে ১৫টির।
তৃতীয় ধাপে সফলতা পেলেই বড় আকারে উৎপাদনে যাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। শুরুতে তারা ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে। কোনও মুনাফা করবে না। যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের জন্য তৈরি হবে ৪০ কোটি ডোজ। আর স্বল্প-মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য ১০০ কোটি ডোজ। সব মিলিয়ে উৎপাদন করবে ২০০ কোটি ডোজ।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে AZD1222 (ChAdOx1 nCoV-19) ভ্যাকসিনটি তৈরি করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। মানবদেহে তৃতীয় ট্রায়ালও শুরু করেছে এই সংস্থা। শনিবারই ব্রাজিল অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ১২৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে সেদেশে এই ভ্যাকসিনটি তৈরি করার জন্য।