Saturday, June 21, 2025
Latestরাজ্য​

জয়প্রকাশকে লাথি মেরেছিল তারিকুল শেখ, ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে অভিযোগ দায়ের

নদিয়া: করিমপুরের বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে নিগ্রহের ঘটনায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আক্রমণকারীদের অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এদিনের উপর হামলার ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে যার লাথির আঘাতে জয়প্রকাশ মজুমদার ঝোপে পড়ে যান তার ছবিও আলাদা করে চিহ্নিত করে দিয়েছেন।

বিজেপির দাবি, আক্রমণকারীরা সকলেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতকারী। জয়প্রকাশকে লাথি মেরে যে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল তার নাম তারিকুল শেখ। এছাড়াও হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, কামালুদ্দিন বিশ্বাস, দুখু মালিথা, মাসাদুল আলম, খুদাবক্স শেখ, দিনারুল বিশ্বাস, বঙ্কিম মণ্ডল ও হাবিব বিশ্বাস আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।


সোমবার বেলা বাড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। করিমপুরের পিপুলখোলা এলাকায় সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে আক্রমণ করে। রাস্তায় ফেলে কিল-চড়-ঘুষি, এমনকি লাথি মারে। জয়প্রকাশ মজুমদারকে লাথি মেরে ঝোঁপে ফেলে দেওয়া হয়।

জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। রাজ্যের গণতন্ত্রের ওপর আঘাত করছে মমতার বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের সামনেই এই হামলা চলে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গে এই যে ঘটনা ঘটল, সেই এলাকার দায়িত্ব ছিল জেলা পুলিশ সুপার, জেলা শাসক এবং জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের। এত কিছু হওয়া সত্ত্বেও আমি দায়িত্ব সহকারে বলছি, ৩টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই মানুষের জিত হবে, বিজেপি জয়লাভ করবে বিপুল ভোটে।

মুকুল রায় বলেন, এই অবস্থায় এটা প্রমাণিত যে বাংলায় গণতন্ত্র নেই। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচন অসম্ভব। যিনি এখানে গণতন্ত্র নিধন করেছেন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি পুলিশকে ধমকি চমকি দিয়ে কোনওভাবে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।