নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অসমে ৪ কিমি দীর্ঘ র্যালি
গুয়াহাটি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অসমের মরিগাঁও জেলার জাগিরিয়াড অঞ্চলে চার কিলোমিটার দীর্ঘ র্যালি করল বিজেপির কর্মীরা। এই বিশাল সমাবেশের নেতৃত্বে ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং প্রতিমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। স্থানীয় বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী ও সমর্থকসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই সমাবেশে অংশ নেন। র্যালিটি জাগিরাবাদ কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে কাহিকুচি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এবং প্রতিমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা সহ একাধিক নেতা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। টুইটে হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা লিখেছেন, অসমের মানুষ শান্তি ও অগ্রগতি চায়। জাগিরোয়াদে শান্তি সমাবেশে ব্যাপক যোগদান আবারও এটি প্রমাণ করে। আমাদের প্রতি বিশ্বাসের জন্য জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমাদের রাজ্যের উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে তাদের আশীর্বাদ ও সহযোগিতা কামনা করছি।
Heard many times ~ a picture is worth a 1000 words!
I shall allow these pics to speak for themselves, today. This incredible surge of people at our Peace & Progress March at #Jagiraod today conveys a lot. #AssamAlwaysAhead @narendramodi @AmitShah @BJP4India @BJP4Assam pic.twitter.com/pvvyYcLH8n
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 27, 2019
হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা টুইটারে এদিনের সমাবেশের ছবিও পোস্ট করেন। ছবিতে প্রচুর লোকের সমাগম দেখা যায়। তিনি লেখেন, অনেকবার শোনার থেকে একটি ছবির মূল্য হাজার শব্দেরও বেশি! এই ছবিগুলি তাদের পক্ষে কথা বলবে যারা আজ নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে আমাদের পিস অ্যান্ড প্রগ্রেস মার্চে অংশগ্রহণ করেছে।
বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বিজেপি সরকার বিগত চার বছরে রাজ্যকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছে। রাজ্যের এই উন্নয়নে এবার কেউ আঘাত হানতে পারবেনা। আমরা আমদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের সংরক্ষণের জন্য প্রতিবদ্ধ। তিনি বলেন, গোটা দেশে বিরোধীরা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে, আর আজকের এই র্যালি দেখে বিরোধীদের ঘুম উড়ে গেছে।
নয়া এই আইনে, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ বা তার আগে ভারতে এসেছে তাঁদের ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।