Saturday, June 21, 2025
Latestদেশ

এসপিজি সুরক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনাই নেই: কেন্দ্র

নয়াদিল্লি: বুধবার লোকসভায় গান্ধী পরিবার এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের এসপিজি সুরক্ষা প্রত্যাহারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয় কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ বিষয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের কোনও সম্ভাবনাই নেই, কংগ্রেস চাইলে এ বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন রাখতে পারে।

এদিন সংসদে এই ইস্যু নিয়ে সরব হন কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার এসপিজি নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নিয়েছে।

প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, এসপিজি সুরক্ষা প্রত্যাহার নিয়ে সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠা উচিৎ। তাঁরা জাতীয় স্বার্থে কাজ করেছেন। তাঁদের জীবন সংশয়ের মতো হুমকি রয়েছে, তাই তাঁদের এসপিজি নিরাপত্তা ফিরিয়ে দেওয়া উচিৎ।

কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, দয়া করে পক্ষপাতদুষ্ট রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে পর্যালোচনা করুন এবং জাতীয় স্বার্থে ওই নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করুন, অন্যথায় ভবিষ্যতে এই নিরাপত্তা প্রত্যাহারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হবে।

আনন্দ শর্মার যুক্তি, মনমোহন সিং ১০ বছর ধরে দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও, সোনিয়া গান্ধী হলেন শহিদ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ এবং শহিদ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর স্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি আমাদের নেতাদের নিরাপত্তার বিষয়টি পক্ষপাতদুষ্ট রাজনৈতিক বিবেচনার বাইরে রেখে বিবেচনা করার জন্যে।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রাজনীতির কিছু নেই। এখানে রাজনৈতিক কোনও কারণে এই সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এবং সেখানের একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকল রয়েছে। এটা কোনও রাজনীতিবিদ নিজের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে করেনি, এই বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ঠিক করে এবং হুমকির সম্ভাবনা অনুযায়ী সুরক্ষা দেওয়া হয় এবং প্রয়োজনে তা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এখন তাঁদের জেড প্লাস ধরণের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। ১০০ জন সিআরপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। ১৯৯১ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী জঙ্গি  বিস্ফোরণে নিহত হওয়ার পর থেকেই গান্ধী পরিবারকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়।