ভারত থেকে ১১৩৮ কোটি টাকার ডিজেল আমদানি বাংলাদেশের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন থাকলেও অর্থনৈতিক চাপে ভারত থেকেই ডিজেল আমদানি করছে ইউনুস সরকার। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করবে বাংলাদেশ, যার বাজারমূল্য ১১৩৮ কোটি টাকা। ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড (NRL)-এর সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি ব্যারেল ডিজেলের মূল্য নির্ধারিত হয়েছে ৫.৫০ ডলার।
মঙ্গলবার ঢাকায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে ডিজেল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (BPC) ভারত থেকে এই ডিজেল সংগ্রহ করবে।
কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেও আমদানি
শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী হাওয়া বইছে। সীমান্ত পরিস্থিতি, হিন্দু নির্যাতন, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ইত্যাদি নানা কারণে সম্পর্ক কিছুটা জটিল হলেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির চাপে ভারত থেকেই পণ্য আমদানি অব্যাহত রেখেছে ঢাকা।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল সরবরাহ শুরু হয়। এর আগে রেল ওয়াগনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানি করত বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ১৫ বছরের মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার আওতায় ডিজেল আমদানি করা হচ্ছে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতীয় আমদানি
বাংলাদেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকার শুল্ক প্রত্যাহার করে ভারত থেকে আমদানি চালু করেছে। প্রায় দুই বছর পর ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।
১৩ জন আমদানিকারক ৯১ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে বাংলাদেশের
অর্থনৈতিক সংকট ও পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ইউনুস সরকারকে বাধ্য হয়েই ভারত থেকে চাল, পেঁয়াজ, ডিম, চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি চালিয়ে যেতে হচ্ছে। কূটনৈতিক টানাপোড়েন থাকলেও বাংলাদেশ এখনো দিল্লির ওপর নির্ভরশীল।