রাষ্ট্রদ্রোহিতার সাজা যাবজ্জীবন, জামিন সম্ভব নয়, ফের খারিজ চিন্ময় কৃষ্ণের আবেদন
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন খারিজ: প্রশ্নে আইনি প্রক্রিয়া ও দুই দেশের সম্পর্ক
চট্টগ্রাম আদালতে আবারও জামিনের আবেদন খারিজ হল সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় অভিযুক্ত এই সন্ন্যাসী এক মাসেরও বেশি সময় ধরে কারাবন্দি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগর দায়রা আদালতে বিচারক মহম্মদ সইফুল ইসলাম তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করেন। মামলাটি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেও উত্তেজনা তৈরি করেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি: রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় জামিন সম্ভব নয়
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে যুক্তি দেন যে, রাষ্ট্রদ্রোহ একটি গুরুতর অপরাধ, যার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। ‘‘এ ধরনের মামলায় জামিন দেওয়া আইনি প্রক্রিয়ার পরিপন্থী,’’ বলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিমউদ্দিন চৌধুরী।
আইনজীবীদের দাবি: চিন্ময়কৃষ্ণ নির্দোষ
অন্যদিকে, চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’ আইনজীবীরা এবার উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি
শারীরিকভাবে উপস্থিত না হয়ে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এদিন আদালতে হাজিরা দেন চিন্ময়কৃষ্ণ। আদালতের শুনানি শেষে, তাঁর আইনজীবী দল পুলিশের নিরাপত্তায় আদালত ত্যাগ করেন।
পূর্ববর্তী জামিন আবেদন খারিজ
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বরও চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদন চট্টগ্রাম আদালত খারিজ করেছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি জাতীয় পতাকা অবমাননা করেছেন, যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
ভারত-বিরোধী স্লোগান
শুনানির দিন আদালত চত্বরে ভারত বিরোধী স্লোগানের ঘটনা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে। বাংলাদেশের সনাতনী সংগঠন ও ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই মামলা নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে।
ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে প্রভাব
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন খারিজ হওয়া একদিকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার কঠোরতাকে তুলে ধরেছে, অন্যদিকে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত এখন এই মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।