Monday, March 17, 2025
রাজ্য​

খুব শিগগিরিই গোটা তৃণমূল নেতৃত্বের ঠিকানা হতে চলেছে আলিপুর জেল: বাবুল সুপ্রিয়

কলকাতা: আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে তৃণমূলের রং (নীল-সাদা) লাগানো হয়েছে। কারণ সেখানেই গোটা তৃণমূল নেতৃত্বের থাকার জায়গা হবে। এমনই ভাষাতে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে যেভাবে আগলাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা দেখে বাবুল সুপ্রিয়র মন্তব্য, খুব শিগগিরিই মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতাদের বাসস্থান হতে চলেছে কলকাতা আলিপুর জেল।

আসানসোলের সাংসদের কটাক্ষ, সম্প্রতি তিনি আলিপুর জেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেন, পুরো জেলের গায়ে নীল-সাদা রং। তাঁর মতে, মাঝে আঁকার খুব শখ জেগেছিল তৃণমূল শাসকের। সেই ঝোঁকে তিনি এই রং করলেও, বোধহয় বুঝতে পারেননি, এই জেলই তাঁর এবং তাঁর দলের নেতাদের ভবিষ্যতের ঘরবাড়ি হতে চলেছে। কারণ, তাঁদের একের পর এক দুর্নীতি।

বাবুল সুপ্রিয়র দাবি, প্রথম থেকেই প্রশাসনকে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি আড়়ালের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে জিততেও তাঁদের সাহায্যই নিয়েছিলেন তিনি। তাই সিবিআই যখন গিয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন কমিশনারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বাঁচাতে ধর্নামঞ্চে বসেছিলেন। যা একজন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য অত্যন্ত বেমানান।

বাবুল সুপ্রিয় আরও বলেন, একের পর এক দুর্নীতির পরে হঠাৎই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুবুদ্ধির উদয় হয়। কাটমানি, রাজীব কুমারকে বাঁচাতে রাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চান। কিন্তু ততক্ষণে তো যা হওয়ার হয়েই গিয়েছে। এভাবেই তিনি দিনের পর দিন শোষণ করেই চলেছেন রাজ্যের মানুষকে। কণ্ঠরোধ করেছেন যুবশক্তির।

প্রসঙ্গত, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সিবিআই কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বাড়িতে যান। তবে সিবিআইয়ের ওই দলটিকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল, যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নায় বসেছিলেন।