সন্দেশখালিতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে মৃত ৩, রিপোর্ট চাইলেন অমিত শাহ
কলকাতা: শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ন্যাজোটে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে একজন তৃণমূলের কর্মী, অন্য দু-জন বিজেপির কর্মী। যদিও, বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেন, তাঁদের তিনজন কর্মী নিহত হয়েছেন। অপর দিকে, তৃণমূলের দাবি, তাঁদের আরো ২ কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দাবি, তাঁদের ২ কর্মীকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বিজেপির হার্মাদ বাহিনী।
বিজেপি সূত্রে খবর, দলীয় পতাকা সরানোকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। তারা পতাকা খোলার প্রতিবাদ করায়, তৃণমূলের লোকজন চড়াও হয়। এ নিয়ে সংঘর্ষ বাধলে, বিজেপির তিন কর্মী নিহত হন। নিহতদের নাম সুকান্ত মন্ডল, প্রদীপ মন্ডল ও তপন মন্ডল। যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন বিকালে ন্যাজাটে তৃণমূলের বুথ বৈঠক চলছিল। সেখানে ঢুকে তাঁদের কর্মী কায়ুম মোল্লার মাথায় গুলি করে বিজেপির হার্মাদরা। এরপর বাইরে নিয়ে এসে, তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষ। তাদের দাবি, তাঁদের আরো ২ কর্মীকে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন।
এদিকে এই সংঘর্ষের ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার বসিরহাট থেকে তাদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে অভিযোগ জানাবে। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বও থাকবে ওই প্রতিনিধি দলে। ঘটনায় সরাসরি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এই ঘটনায় প্রতিবাদে টুইট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। খুব দ্রুই তৃণমূল সরকারকে বাংলার মানুষ শেষ করবে বলেও টুইট বার্তায় জানান তিনি।