এনআরসিতে নাম না উঠলেও কোনও হিন্দুকে তাড়ানো যাবে না: হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ
গুয়াহাটি: এনআরসি থেকে বাদ যাওয়া হিন্দু পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ালো অসম হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতীক হাজেলা এবং এনআরসির লোগো জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তাঁরা। অসম হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদ সাফ জানিয়েছে, এনআরসিতে শেষ পর্যন্ত নাম না উঠলেও কোনও হিন্দুকে রাষ্ট্রহীন করা যাবে না। তাঁরা এ ব্যাপারে সরাসরি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এ ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন
অসম হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদের সভাপতি বলেন, প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা খরচ করে একটি অসম্পূর্ণ এনআরসির তালিকা তৈরি করেছেন প্রতীক হাজেলা। মূলত হিন্দুদের বাদ দেওয়ার একটি বিরাট চক্রান্ত করেছেন তাঁরা এবং এতে সরকারপক্ষের অনেকেই সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা এতকিছু বুঝি না এবং বুঝতে চাইও না, ভারতবর্ষ হিন্দুদের রাষ্ট্র, এখানে কোনও হিন্দু অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হতে পারে না। আমরা বারবার সরকারকে বলেছি, এনআরসি প্রক্রিয়া শুদ্ধভাবে করা হোক। অথচ শেষমেষ একটি অসমাপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি ১৯ লাখ লোকের নাম দেওয়া হয়েছে যার অধিকাংশই হিন্দু।
তিনি আরও বলেন, এনআরসি থেকে যারা বাদ পড়েছেন তাদের সঙ্গে দেখা করে জানতে পারলাম, ১৯৫২, ১৯৫৪ বা ১৯৬০ সালের নথি থাকার পরও এনআরসির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বহু হিন্দু পরিবারকে। অনেক ক্ষেত্রে মা-বাবার নাম রয়েছে অথচ সন্তানের নাম তালিকায় ওঠানো হয়নি। অথচ বরাক উপত্যকার হাইলাকান্দি জেলায় এক মুসলমান পরিবার ২০১৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ভিসায় ভারতে এসে তাদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন আমরা সরাসরি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, সাহস থাকলে ১৯ লাখের তালিকায় থাকা প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয় প্রকাশ্যে আনুন। আমি দাবি রেখে বলতে পারি প্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ হিন্দু এই তালিকায় রয়েছেন।