Monday, March 24, 2025
কলকাতা

‘হিন্দু পাকিস্তান’ মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

কলকাতা: বিজেপি ‘হিন্দু পাকিস্তান’ গড়তে পারে বলায় তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল কলকাতার নগর দায়রা আদালত। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে তিরুবনন্তপুরমের এক জনসভায় থারুর করা মন্তব্যের জেরেই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে কলকাতার এক আদালত।

থারু ওই জনসভায় মন্তব্য করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যে, একটি ‘হিন্দু পাকিস্তান’ গঠন করা হতে পারে। তাঁর দাবি ছিল, নতুন সংবিধান তৈরি করে সংখ্যালঘুদের আধিকার ও সম্মান সেখানে খর্ব করা হবে।

শহরের এক আইনজীবী সুমিত চৌধুরী শশী থারুরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করেন। আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, তিরুবনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্যে দেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে অত্যন্ত আঘাত লেগেছে। শুধু তাই নয়। তিনি অপমান করেছেন আমাদের দেশের সংবিধানকেও। এই মন্তব্যের ফলে চরম সংঘাত ও ধর্মীয় বৈষম্য সৃষ্টি হতে পারত। তাই এই পিটিশন। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি।

তিরুবনন্তপুরমে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের বিপদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা’ শীর্ষক এক সভায় শশী থারু বলেন, ওরা (বিজেপি) যদি ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জিতে যায়, তাহলে এতদিন যাকে আমরা দেশের সংবিধান হিসাবে চিনতাম, তার আর কিছুই থাকবে না। ওরা নিজেদের সুবিধামতো সংবিধান প্রনয়ন করবে। সেই নতুন সংবিধানটি হবে হিন্দু রাষ্ট্রের সংবিধান। সংখ্যালঘুদের সমানাধিকার বলে সেখানে কিছুই থাকবে না। ওই সংবিধান একটি হিন্দু পাকিস্তান তৈরি করবে। এজন্য স্বাধীনতার লড়াইয়ে সংগ্রামে অংশ নেননি মহাত্মা গান্ধী, নেহরু, সর্দার প্যাটেল, মৌলানা আজাদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।

সেই সময়েই শশীর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছিল বিজেপি। আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতার আইনজীবী সুমিত চৌধুরী। এত দিন পর সেই মামলাতেই কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল আদালত।