বাবা পেশায় অটোচালক, আধপেটা খেয়ে মাত্র ২১ বছরেই দেশের কনিষ্ঠ আইএএস
মুম্বাই: বাবা পেশায় অটোচালক। মা ভাগচাষীর কাজ করতেন। পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল। কখনও কখনও দিনে একবারের বেশি খাবার জোটেনি। কঠিন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে আইএএস অফিসার হলেন শেখ আনসার আহমেদ (SK Ansar Shaikh)। দেশের কনিষ্ঠ আইএএস অফিসার এখন তিনি। ২০১৫ সালে সর্বভারতীয় আইএএস পরীক্ষায় ৩৭১ তম স্থান অর্জন করেন তিনি।
ঘর তৈরির ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা এসেছিল তাঁর বাবার নামে। কিন্তু তা নিতে গেলে ৩,০০০ টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। তাই আইএএস অফিসার হয়ে দক্ষ প্রশাসক হয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে গ্রামবাংলার মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চান আনসার আহমেদ।
মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার শেনগাঁও গ্রামের ২৩ বছর বয়সী আনসার এখন নদীয়ার কৃষ্ণনগর–১ ব্লকের ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার (বিডিও)। ইতিমধ্যেই ‘গতিশীল’ আধিকারিক হিসেবে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন। কোথাও দুর্নীতির গন্ধ পেলেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন।

যেমন গীতাঞ্জলি আবাস প্রকল্পে উচ্চ আয়ের লোকেরাও এতে ঢুকে পড়েছে শুনে সটান চলে যান উপভোক্তাদের বাড়িতে। সব কিছু খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেন। শেষ পর্যন্ত যারা অযোগ্য, তাদের নাম বাদ দেন। যোগ্য অর্থাৎ প্রকৃত গরিবরাই যাতে এই প্রকল্পে ঘর পান, সেই ব্যবস্থা করেন তিনি।
নিজের গ্রামেই ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বরাবরই পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন আনসার। পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। অনার্স ছিল না তাঁর, পাশেই পড়াশোনা করেন। প্রতিনিয়ত দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়তে হয়েছে তাঁকে। বাবা শেখ আহমেদ পেশায় অটো চালক। আর মা আজামত শেখ কৃষিশ্রমিকের কাজ করেন। ভাই কখনও মোটর গ্যারেজে আবার কখনও মুদির দোকানে কাজ করেছেন।
২০১৫ সালে স্নাতক হওয়ার বছরই আইএএস পরীক্ষা দেন। তারপর একে একে প্রিলিমিনারি ও মেন পরীক্ষা পাশ করেন। শেষে ইন্টারভিউ দিয়ে ২০১৬ সালের মে মাসে আইএএস অফিসার হন আনসার আহমেদ।


