কেন্দ্রের কাছে খাবার, ওষুধ-সহ সবরকমের পণ্য সরবরাহের অনুমতি চাইল অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট
নয়াদিল্লি: করোনা মোকাবিলায় গত ২৫ মার্চ থেকে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। আর লকডাউনের জেরে কেবল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন- খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ সরবরাহের অনুমতি রয়েছে ই-কমার্স সংস্থাগুলির। তবে সরকারের কাছে অত্যাবশ্যকীয় ছাড়াও সবরকমের পণ্য সরবরাহের আর্জি অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট। তাঁদের দাবি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই নিরাপদে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারবে তাঁরা।
লকডাউনের জেরে জরুরি জিনিস ছাড়া ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিক্রি বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন বিক্রি বন্ধ থাকার কারণেই বাজারে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফ্লিপকার্ট মুখপাত্র বলেন, ই-কমার্স কোম্পানিগুলি সামাজিক দূরত্বকে বজায় রেখে গ্রাহকের কাছে সুরক্ষিত ভাবে বিভিন্ন জিনিস পৌঁছে দিতে পারবে। এতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হবে। এ ছাড়া ডেলিভারি শুরু হলে গোটা দেশে বিভিন্ন গুদাম খালি করতে সুবিধা হবে।
অ্যামাজনের তরফে বলা হয়েছে, নাগরিকদের হাতে জিনিস পৌঁছে দিতে সবথেকে সুরক্ষিত উপায় হল ই-কমার্স ডেলিভারি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা যাবে। তাই কেন্দ্রের কাছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে ই-কমার্সকে সামিল করার আবেদন জানাচ্ছি। গোটা দেশের ১০ কোটি গ্রাহকের কাছে সুরক্ষিত ভাবে বিভিন্ন জিনিস পৌঁছে দিতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এর ফলে মানুষের বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল থেকে বিভিন্ন ই-কমার্স ডেলিভারিতে ছাড় দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মাধ্যমে দেশের বহু ছোট ব্যবসায়ী ব্যবসা করেন। ডেলিভারি শুরু হলে এই মানুষগুলির ব্যবসা ফের চালু হবে।